রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছিল পর্বতঘেরা নেপাল। এপ্রিল ও মে মাসে প্রধান ভূমিকম্প দুটি আঘাত হানে। এছাড়াও একের পর এক আফটার-শক বা পরাঘাতে বিপর্যস্ত দেশটি। ভয়াল এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। দরিদ্র রাষ্ট্র নেপালের পুনর্গঠনে ৬৬০ কোটি ডলার অর্থ-সহযোগিতা প্রয়োজন। গত মঙ্গলবার বার্ষিক বাজেট ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী রাম শরন মাহাত বলেন, সরকার হাজার হাজার কাঠমিস্ত্রি, কলমিস্ত্রি, বিদ্যুৎমিস্ত্রি ও রাজমিস্ত্রির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। শুধু তাই নয়। জাতিসংঘ বলছে, জরুরি ভিত্তিতে নেপালের ২৮ লাখ মানুষের মানবিক ত্রাণ প্রয়োজন। আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো সর্বাগ্রে বিবেচ্য। এদিকে এর মধ্য দিয়ে নেপালে কর্মসংস্থানের যে সঙ্কট চলছে, তাও অনেকাংশে নিরসন হবে। কারণ, দেশটি থেকে শ্রমিকের কাজের জন্য বহু মানুষ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায় বহু মানুষ। বিদেশে গিয়ে মূলত নির্মাণ শ্রমিকের কাজই করেন তারা। অর্থমন্ত্রী মাহাত বলেন, এ অর্থবছরে নেপালের রুগ্ন অর্থনীতিতে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে, যা ২০০৭ সালের পর সর্বনিম্ন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, পুনর্গঠনের কাজে নিয়োগ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী বছরের মধ্যে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। ভেঙে পড়া বিভিন্ন অবকাঠামো পুনঃনির্মাণে এ বছর ৯১ কোটি ডলার ব্যয় করবে সরকার। এদিকে এখনও নেপালের বহু বাসিন্দা শরণার্থী শিবিরগুলোতে অবস্থান করছেন। তারা এখনও সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাননি।