কিয়ামতের দিন এত কঠিন হবে যে আল্লাহর আরশের ছায়া ব্যাতিত আর কোন ছায়া থাকবে না ৷ সবাই কঠিন উত্তপ্ত সূর্যের নিচে থাকবে শুধুমাত্র সাত শ্রেণীর মানুষ ব্যাতিত ৷ প্রত্যেক মানুষই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে। মৃত্যুর পরে আল্লাহর সামনে সবাইকে উপস্থিত হতে হবে। সেই মহান উপস্থিতির দিনকেই বলা হয় কেয়ামত দিবস বা বিচার দিবস। সেদিন সূর্য মানুষের মাথার উপরে থাকবে। যার ফলে অনেক পাপাচারীর মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দা যারা, তারা থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। আল্লাহ তায়ালার আরশের নীচে ছায়া পাবে তারা। তারাই হবে সম্মানিত ।
হজরত আবু হোরায়রা [রা] থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল [সা] বলেছেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা কেয়ামত দিবসে তার আরশের ছায়াতলে স্থান দেবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না-
১. ন্যয়পরায়ণ বাদশাহ।
২. এমন যুবক, যে তার যৌবনকাল ব্যয় করেছে আল্লাহর ইবাদতে।
৩. সেই ব্যক্তি, যার অন্তর সব সময় মসজিদের সাথে লেগে থাকে।
৪. এমন দুই ব্যক্তি, যারা আল্লাহর জন্য একে অপরকে ভালোবেসেছে এবং আল্লাহর জন্যেই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।
৫. এমন ব্যক্তি, যাকে কোনো সুন্দরী নেতৃস্থানীয়া রমণী মন্দকাজের জন্যে ডেকেছে, কিন্তু সে তার ডাক প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।
৬. সেই ব্যক্তি, যে এতটা গোপনে দান করে যে, তার বাম হাত জানে না, ডান হাত কী দান করেছে।
৭. আর সেই ব্যক্তি, যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার দু’চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। (বোখারি, মুসলিম)
এখানে বিশেষভাবে যুবকদের কথা উল্লেখের কারণ হলো, যুবক বয়সেই মন্দকাজের হাতছানি আসে সবচে’ বেশি। তাই যুবক বয়সে ইবাদতে মনোনিবেশ করতে পারা তুলনামূলন কঠিন ও তাৎপর্যপূর্ণ। আরেকটি বিষয় হলো, যারা আল্লাহর উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালোবেসেছে এবং তাদের বিচ্ছেদের কারণও আল্লাহর নির্দেশ মান্য করা ছাড়া অন্য কিছু নয়। সেখানে পার্থিব কোনো আকাক্সক্ষা ছিলো না। তাদেরকেও আল্লাহ তায়ালা ভালোবেসে তার আরশতলে স্থান দেবেন।