আড়াই লক্ষ টাকার মুক্তিপনে ২ যুবক মুক্ত: অপরজন গাজার মামলায় আদালতে
বেনাপোল : বেনাপোল সীমান্ত থেকে এক কেজি হেরোইনসহ তিন যুবককে আটক করেছে পোর্ট থানা পুলিশ। শনিবার রাতে তাদেরকে আটক করে ৩ঘন্টা যাবত থানা হাজতে রেখে দেন দরবারের মাধ্যমে ২ জনকে আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপর জনকে ৫’শ গ্রাম গাজার মামলা দিয়ে রবিবার(৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর আদালতে প্রেরণ করেছেন।
হেরোইনসহ আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়- বেনাপোল পোর্ট থানার নামাজ গ্রামের মৃত শের আলীর ছেলে মনির হোসেন(৩৫) ও মৃত হযরতের ছেলে তরিকুল ইসলাম(২৩)। ৫’শ গ্রাম গাজার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয় যশোরের বেজপাড়া এলাকার মামুন হোসেন(৩২) নামের অপর যুবককে।
শনিবার রাতে থানা হাজতে আটক থাকাবস্থায় আটককৃত ৩ যুবকই জানান তাদেরকে এএসআই আশরাফ ও এএসআই সুজিত ধরে এনেছেন।
সুত্রে জানাজায়, নামজগ্রামের এক হেরোইন ডিলার এক কেজি হেরোইন বিক্রি করেন আটক যশোরের মামুনের কাছে। চালানটি পরিবহন পর্যন্ত সাথে দেওয়া হয় মনির ও তরিকুলকে। পরে ওৎপেতে থাকা পুলিশের এএসআই আশরাফ ও এএসআই সুজিত পথিমধ্যে মনিরের বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে ১ কেজি হেরোইনসহ হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে গভীর রাতে ওই হেরোইন ডিলারের মাধ্যমে নগদ আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে মনির ও তরিকুল ছেড়ে দেয় এই পুলিশ কর্তারা।
এ বিষয়ে কথা হয় পোর্ট থানার এএসআই সুজিতের সাথে। তিনি তিনজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি আমি জানি। তবে আটক আমি করেনি। আটক করেছিল এএসআই আশরাফ।
পরে ফোনে রিং করা হয় এএসআই আশরাফের কাছে। তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। থানায় গিয়ে সাক্ষাত করা হলেও তিনি আলাপ করেননি।
কথা হয় অন্যান্য পুলিশের সাথে। সকলেই বিষয়টি জানেন বলে সিকার করলেও এএসআই আশরাফ ও এএসআই সুজিতের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। বলেন, পত্রিকায় লিখলে কোন কাজ হয় না। ইতিমধ্যেও এদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে কিন্তু বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ কর্তারা।
এদিকে বিস্বস্ত সুত্রে জানাযায়, এএসআই আশরাফ দম্ভোক্তি ছুড়ে বলেছেন আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখে কি হবে? আগেওতো লিখেছে। কি হয়েছে? আমার চাকরি গেছে নাকি বদলি হয়েছে? যা কামাই, উপরের স্যারদের ভাগ দেই। আমরা কি করি স্যারেরা জাে