আমিনুল কবির, কক্সবাজার :
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আসছে প্রতিদিন প্রচুর পরিমান গবাদি পশু। বাজার ধরতে বেশী মুনাফার আশায় টেকনাফের ব্যবসায়িরা গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন বলে সুত্রে জানা গেছে। সব মিলিয়ে এবারের কুরবানে গবাদি পশুর সংকট হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন টেকনাফের শীর্ষ গবাদি পশু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে বর্তমানে শাহপরীরদ্বীপ করিডোর দিয়ে আসা টেকনাফ, সাবরাং ও শাহপরীরদ্বীপ ব্যবসায়ীদের কাছে প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশু বিক্রির অপেক্ষায় মজুদ রয়েছে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এবার ক্রেতা সমাগম যেমন বেশি, বিক্রেতাও তেমন। কক্সবাজার জেলার সব গরু বাজারে এখন মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব। দাম কম ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় মিয়ানমারের গরুর চাহিদার বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আমদানিও। বাজারে গরুর দাম নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমারের গবাদি পশু ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা জানান ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বেড়েছে।এসব পশুর দামও তুলানামূলকভাবে কম হবে বলে জানিয়েছেন।
শাহপরীর দ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসেম জানান, মিয়ানমার থেকে আনা পশুর মাংস গড়ে প্রতি মণ ১৬ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরু হলে দাম অনেক কম হয়। শাহপরীরদ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: কাসেম জানান, মিয়ানমারের পাঁচ মণ ওজনের একটি গরুর মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা। আর একই ওজনের দেশি গরুর দাম পড়বে ১ লাখ টাকারও বেশি, তাই মিয়ানমার থেকে গরু আসায় গরুর দাম ও কম পড়ছে সাথে সরকার ও লাভবান হচ্ছে। কয়েকদিন আগে থেকে টেকনাফ ও কক্সবাজারে গরু বাজার শুরু হলে সেখানে মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব দেখা দিয়েছে।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ পর্যন্ত করিডোর হয়ে ১০ হাজার ১৯৪টি গরু, মহিষ ও ছাগল আনা হয়েছে। এসব পশু থেকে রাজস্ব পাওয়া গেছে ৪০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। গত বছর মিয়ানমার থেকে পশু আনা হয় ২৫ হাজারের মতো। শাহপরীরদ্বীপের গরু ব্যবসায়ী মৌলবী নুরুল হক জানান, গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমার থেকে সাত শতাধিক গবাদি পশু এসেছে। গরু ব্যবসায়ী মো: শরীফ (বলি) জানান সেপ্টেম্বরের ৫ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পশু আমদানি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন ঈদের আগে আরো ১০ হাজার পশু আমদানির টার্গেট রয়েছে। টেকনাফের গরু ব্যবসায়ী আবু সৈয়দ জানান, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পশু শুধু কক্সবাজার নয় চট্টগ্রাম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের কাস্টম সুপার হুমায়ুন কবির জানান,এই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে করিডোরে ব্যবসায়ীরা প্রচুর গবাদি পশু আমদানি করেছেন। এ আমদানি প্রতিবছর সরকারি রাজস্ব বড় ভূমিকা রাখছে।