আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জিরাই গ্রামে গৃহবধু নাজলিন আকতারের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম প্রদত্ত বসতবাড়ির ১৬ শতাংশ জমিসহ নির্মিত আধা পাকা টিন সেড ঘর শশুর বাড়ির লোকজন জবর-দখল করে নিয়েছে। এসময় তাকে বেধরক মারপিট করে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার সক্রিয় সহযোগিতা ও মদদদানের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জের নাগরিক কমিটির আহবায়ক এমএ মতিন মোল্লা ও তার সকল কুকর্মের সহযোগি সাংবাদিক শাহ আলম সরকার সাজু ও সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেনকে বৃহস্পতিবার ও শুক্র পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে নাজলিন আকতার বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাজলিন আকতারের মামা আব্দুল খালেক, বড় মা আনোয়ারা বেগম, চাচি তাসলিমা বেগম, ভাই আইনুর ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ওই গ্রামে ১৬ শতক জমির উপর একটি আধা পাকা টিনসেড ঘর নির্মাণ করে নাজলিন আকতারের নামে দলিল করে দেয়। সেখানে সে স্বামীর সাথে বসবাস করতে থাকেন। স্বামী বিদেশ থাকাকালে এমএ মতিন মোল্লা, সাংবাদিক শাহ আলম সরকার সাজু ও মোয়াজ্জেম হোসেনের কুপরামর্শে এবং মদদে তার শ্বশুর আবুল কাশেম বদুা মিয়া ও দেবর মুকুল মিয়া, শ্বাশুরীসহ অন্যান্য লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এসময় তার বিরুদ্ধে নানা হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলাও দায়ের করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধু নাজলিন আকতার গাইবান্ধা কোর্টে মামলা নং-২২/১৫ সংক্রান্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে গেলে উক্ত এম.এ মতিন মোল্লা, সাংবাদিক শাহ সরকার সাজু, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য আসামীরা গাইবান্ধা ডিসি অফিসের মেইন গেইটে তাকে উল্লেখিত মামলার সূত্র ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধরক মারপিট করে। ফলে ১৫ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (নং-১৮)।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও আদালত সুত্রে জানা গেছে, এম.এ মতিন মোল্লা, সাংবাদিক শাহ আলম সরকার সাজু ও মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ এবং গাইবান্ধা থানা ও গাইবান্ধা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে সাজুর বিরুদ্ধে ১২টি, মতিন মোল্লার বিরুদ্ধে ৭টি এবং মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ১১টি নারী নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট, হত্যার হুমকি, প্রতারনা মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে জেলার নিয়মিত ২৮ হাট ছাড়াও আরও অতিরিক্ত ১৮টি অস্থায়ী হাটে গরু, মহিষ ও ছাগল কেনাবেচা চলছে। কিন্তু হাটগুলোতে পশু রোগ পরীক্ষায় স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো তৎপরতা নেই। তবে নকল টাকা সনাক্ত করার বুথের কার্যক্রম কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে।