ঈদ আসলেই বাড়ে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির তৎপরতা। পুলিশের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রচারণা আর অব্যাহত অভিযানের মধ্য দিয়েও চলছে তাদের খপ্পরে পড়া সাধারণ মানুষের সর্বশান্ত হওয়ার মিছিল। যদিও পুলিশের দাবি ঘটনার সংখ্যা কমলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না তৎপরতা।
মঙ্গলবার সকালেও রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে সবকিছু খুইয়েছেন অন্তত তিনজন। ক’দিন আগে রাজশাহীর সিটি হাটে কোরবানির গরু কিনতে গিয়ে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে অসুস্থ ৩০ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যুও ঘটে। এ মাসের ৭ তারিখে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে অচেতন অবস্থায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া ৭ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতিদিনই এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
নিম্ন আয়ের মানুষরা এসব চক্রের খপ্পরে পড়ছেন বেশি। বেশিরভাগ ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাটসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় এসব ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া মহাখালী হতে টঙ্গী-গাজীপুর-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল রুটে, গাবতলী হতে সাভার-আশুলিয়া-চান্দুরা-মানিকগঞ্জ রুটে, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ হতে মাওয়া-চিটাগাং রোড-নারায়ণগঞ্জ রুটে ক্যানভাসার বেশে এবং সাধারণ যাত্রী বেশে চলন্ত বাসে উঠে যাত্রীদেরকে টার্গেট করে। এরপর কথোপকথনের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তুলে। ঔষধ মেশানো জুস-শরবত, কফি-চা, হালুয়া, চকলেট-বিস্কুট, খেজুর, ডাবের পানি, বিড়ি-সিগারেট, পান খাইয়ে সাধারণ মানুষদের অজ্ঞান করে তাদের অর্থ-মালামাল লুটে নেয় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।
অভিযানের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এবারে এই তৎপরতা রুখতে আশ্রয় নেয়া হয় ভিন্ন কৌশলের। গানে গানে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এরই মধ্যে একটি ভিডিওচিত্র তৈরি করেছে ডিএমপি। তা প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন বাস, লঞ্চ, ট্রেন স্টেশনে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে অন্য সব জায়গায় তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুনতাসীরুল ইসলাম প্রিয়.কমের কাছে দাবি করেন, ‘অাগের চেয়ে এসব পার্টির তৎপরতা কমেছে।’ সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এই তৎপরতা সম্ভব না বলেও মনে করেন তিনি।