কখনো জেলের ভেতরে তো কখনো বাইরে; এভাবেই জীবন কাটছে বলিউডের অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। মেয়ে ইকরার নাকে অস্ত্রোপচারের জন্য গত আগস্ট মাসে ৩০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন সঞ্জয়। তাই পরিবারকে বিদায় জানিয়ে ফের জেলে ফেরত যেতে হচ্ছে সঞ্জয়কে।
১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে সংঘটিত ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে জড়িতদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অপরাধে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের জন্য পুনের ইয়েরাওয়াড়া জেলে কারাবাস করতে হচ্ছে সঞ্জয় দত্তকে।
তবে কারাবাসের মাঝে প্রায়ই প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন এ অভিনেতা। বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে প্যারোলে জেল থেকে বের হয়েছেন সঞ্জয়, এ কারণে তিনি সমালোচিতও হয়েছেন প্রচুর।
এর আগে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ১৪ দিনের জন্য জামিন নিয়েছিলেন সঞ্জয়। বাড়তি আরও ১৪ দিনের ছুটি চাইলে আদালত তাঁর সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে পায়ের ব্যথার কারণে ২৮ দিন এবং একই বছরের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে ২৮ দিনের জামিন ভোগ করেন ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
এ অভিনেতাকে শেষ দেখা গেছে রাজ কুমার হিরানীর ‘পিকে’ ছবিতে। সামনে একই নির্মাতার পরিচালিত ‘মুন্না ভাই’ সিক্যুয়ালে অভিনয়ের কথা আছে তাঁর। ১৯৯৩ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি স্থানে ১২টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৫৭ জন নিহত হয়। আর আহত হয় ৭০০ জনেরও বেশি। ভয়াবহ ওই সহিংসতার এক মাস পর বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয় দত্তকে গ্রেপ্তার করেছিল মুম্বাই পুলিশ। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে সঞ্জয় দত্তের বাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ অবৈধ অস্ত্র খুঁজে পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেলেও বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে (২০ বছর আগের মামলায়) গত ২০১৩ সালের ২১ মার্চ সঞ্জয়কে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সঞ্জয় এ মামলায় আগে দেড় বছর সাজা খেটেছেন। এই হিসাবে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁকে ইয়েরাওয়াড়া কারাগারে বন্দী থাকতে হবে।