ইলিয়াছ মাহমুদ ঃ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শরীয়তপুরের সদর উপজেলার চর কাশাভোগ গ্রামে এক কিশোরী (১৪) গনধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে মঙ্গলবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে তিন জনকে আসামী করে শরীয়তপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত জাকির হোসেন বেপারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার শিকার ওই মেয়েটির পরিবার ও সদর থানা সুত্র জানায়, সদর উপজেলার কাশাভোগ গ্রামের আলী আকবর বেপারীর ছেলে জাকির হোসেন বেপারী একই গ্রামের এক কিশোরী কন্যাকে বিয়ের জন্য বেশ কয়েকবার প্রস্তাব দেয়। ছেলেটি বখাটে হওয়ায় ওই কিশোরীকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি কিশোরীর পরিবার। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে মনোহর বাজার মোড়ে বাবার কাছে যাচ্ছিল কিশোরী মেয়েটি। পথে জাকির হোসেন বেপারী, তার দুই বন্ধু এমদাদুল বেপারী ও আসাদুল বেপারীকে সাথে নিয়ে রাস্তা থেকে জোর করে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায়। একই গ্রামের দাদন বেপারীর ঘরের ভেতরে তাকে বন্ধুরা মিলে গনধর্ষণ করে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে চলে যায়। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার গভীর রাতে মেয়েটির চেতনা ভিরে আসে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিন জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ধর্ষক জাকির হোসেন বেপারীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
ঘটনার শিকার ওই মেয়েটির বাবা বলেন, জাকির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ছিল। ছেলেটি বখাটে হওয়ায় আমারা বিয়ে দিতে রাজি হইনাই। প্রতিশোধ নিতে ওরা আমার মেয়েটার সর্বনাশ করেছে। আমি এই অপরাধিদের বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাকির হোসেন বেপারী গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষনের কথা শিকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত অন্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতেই ঘটনার মূল হোতা জাকির বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসা বাদে জাকির ধর্ষনের কথা শিকার করেছে। বাকি দুজন তাকে সহায়তা করেছে।