কতো তরুণীরই স্বপ্নের ক্যারিয়ার বিমানবালা হওয়া। হবেই বা না কেন? ঝাঁ চকচকে পাঁচতারকা হোটেলে থাকা। এক দেশ থেকে আরেক দেশে উড়ে বেড়ানো, পার্টি কতো কি! অবশ্য খারাপ দিকও আছে- পরিবার-পরিজন, স্বামী-সন্তান থেকে দূরে থাকা। এসব করতে করতেই ব্যক্তিগত চাহিদা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সব ধীরে ধীরে পেছনের সারিতে চলে যায়। তাই অনেকে কর্মক্ষেত্রেই চাহিদা পূরণের চেষ্টা করেন। টাকা চাই, আরো অনেক টাকা!
সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে মধ্যপ্রাচ্যের একটি বিমান সংস্থায়। কর্মরত অবস্থায় এক বিমানবালা যাত্রীর সঙ্গে সঙ্গমরত অবস্থায় মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যেই ধরা পড়েন।
পরে তার স্বীকারোক্তি শুনে তো কর্তৃপক্ষ অবাক। তিনি বলেন, এভাবে যাত্রীদের কাছে তিনি অনেক চড়া দামে শরীর বেচে আসছেন বহু দিন থেকেই। এভাবে এযাবৎ আয় করেছেন প্রায় ৭ লাখ পাউন্ড। বেতনের সাথে এ উপরি পাওনার লোভ সামলাতে পারেননি তিনি।
তাই লং ডিসট্যান্স ফ্লাইটেই বেশি কাজ করতে পছন্দ করতেন ওই বিমানবালা। দুবাইয়ের একটি সংবাদপত্রে সম্প্রতি এ খবর প্রকাশ পেয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ওই বিমানবালা শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে যাত্রীদের কাছে দেড় হাজার পাউন্ড দাবি করতেন।
তবে জানা যায়, জাপানের বিমানবালারা এই কাজে আরো সিদ্ধহস্ত। মাঝ আকাশে বিমানচালক এবং অন্যান্য ক্রু মেম্বারদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে তারা। এভাবে রোজগার ভালোই হয়।
কিন্তু এত জাঁকজমকের জীবনে, ভালো বেতন তারপরও এমন গর্হিত কাজ কেন? উত্তরটাও দিয়েছে অনেক বিমানবালা। তারা বলে, খালি রোজগারই একমাত্র কারণ নয়। দীর্ঘ দিন স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়। তাদেরও তো শারীরিক চাহিদা আছে নাকি!