চট্টগ্রাম বন্দরের গতিশীলতা বাড়লে তা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এতে করে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। এ বন্দরের এনসিটির কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বন্দরের কন্টেইনার ওঠা-নামার কাজ আরও গতিশীল হবে। সমৃদ্ধ হবে চট্টগ্রাম বন্দর।
গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল আলোচিত নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। এনসিটির ২ নম্বর জেটিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টায় এর উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, স্থানীয় সাংসদ এমএ লতিফ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ-মন্ত্রী বলেন, বন্দরকে এগিয়ে নেয়া মানে দেশকে এগিয়ে নেয়া। বন্দর সমৃদ্ধ হলে তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা বন্দরের এনসিটি চালু করতে পেরেছি। কোন ষড়যন্ত্র, বাধা, সমালোচনা আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে আটকাতে পারবে না।
চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আট বছর আগে এনসিটির নির্মাণ শেষ হলেও এটি চালু করা যায়নি। এটি সত্যিই দুঃখের বিষয়। এতে করে দেশের ক্ষতি হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এ বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।’
জানা যায়, এনসিটি নির্মাণের কাজ শুরু ২০০৪ সালে। ৪৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে। পরবর্তীতে দুটি জেটির পেছনের কন্টেইনার রাখার চত্বর তৈরিতে আরও ব্যয় হয় ৯৮ লাখ টাকা। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে এনসিটি চালুর উদ্দেশে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে বিদেশী চারটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশ নেয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত করা হয় এবং দরপত্রে অংশ নিতে সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সংসদীয় কমিটি এর বিরোধিতা করে। ফলে বিষয়টি ঝুলে যায়। এরপর মামলা মোকদ্দমার পর অবশেষে শনিবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে।
এরমধ্যে এনসিটির চারটি জেটির পরিচালনায় অপারেটর নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে দুইটি যৌথভাবে ও দুটি এককভাবে পরিচালনার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয় সাইফ পাওয়ারটেক।