মা ইলিশ রক্ষায়প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বর্তমানে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে দেশব্যাপী ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ রাখে মৎস্য অধিদপ্তর। সংসদীয় কমিটির সভায় এই সময়সীমা ৩০ দিন করার প্রস্তাব উঠেছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের ‘মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির’১১তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে কমিটি সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা সভাপতিত্ব করেন।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে চলতি মা-ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণার ফলাফল পর্যলোচনা ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত বা নিখোজ জেলে পরিবারের পুর্নবাসন সর্ম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে বলা হয় সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুমে ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করায় ইলিশের প্রজনন অধিকতর ফলপ্রসু হয়েছে। উক্ত সময়ে ইলিশ আহরণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে মৎস্য অধিদপ্তরের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকলে ইলিশের প্রজনন সাফল্য জাটকার প্রাপ্যতা এবং ইলিশের উৎপাদন ২৫-৩৫% বৃদ্ধি পাবে। কমিটি চলতি মা- ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের জন্য ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে ৩০ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা যায় কিনা সে সম্পর্কে কমিটির পরবর্তী বৈঠকে একটি প্রতিবেদন প্রদান করতে বলেছে।
বৈঠক শেষে মীর শওকত আলী বাদশা প্রিয়.কমকে বলেন, বর্তমানে ১৫ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের প্রস্তাব আছে। কিন্তু কমিটির সদস্যরা মত দিয়েছেন এটিকে ৩০ দিন করার। তাই কমিটি এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে আগামী প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
এছাড়া কমিটি উপকূলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত বা নিখোঁজ জেলে পরিবারের পুর্নবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মন্ত্রণালকে সুপারিশ করে। আর এজন্য পরিবার প্রতি ৫০ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। যা মন্ত্রণালয়কে বাস্তবায়ন করার জন্য বলা হয়েছে বলে প্রিয়.কম-কে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি মীর শওকত আলী বাদশা।
বৈঠকে কমিটির সদস্য মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো: ছায়েদুল হক, মো: কামাল আহমেদ মজুমদার, মুহা: গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, ইফতিকার উদ্দিন তালুকাদার পিন্টু, খন্দকার আজিজুল হক আরজু, মুহম্মদ আলতাফ আলী এবং সামছুন নাহার বেগম (এডভোকেট) বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য অধিদপ্তরের ডিজি, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।