ভারত সফরই কাল হয়েছে। ‘এ’ দলের সঙ্গে ভারত সফরে গিয়ে ইনজুরি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। এই দুই পেসারই ইনজুরি কাটিয়ে ভারত সফর দিয়ে দলে ফিরেছিলেন। কিন্তু ফিরতে না ফিরতে আবারো ইনজুরিতে পড়তে হয় তাদের। তবে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদ খান বলছেন সুস্থ হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের পেসাররা। বাংলাদেশি এই ফিজিও বলছেন রুবেল, তাসকিনের মতো আরেক পেসার শফিউল ইসলামও সেরে ওঠার পথে। তাসকিনের ইনজুরি নিয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ খান বলেন, ‘তাসকিনের সাইড স্ট্রেইন সমস্যা। এটা ঠিক করার জন্য ছয় সপ্তাহ দরকার। ইতিমধ্যে চার সপ্তাহ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। তাসকিন এই সপ্তাহ থেকে ওর স্বাভাবিক অনুশীলগুলো শুরু করছে। পুরোপুরি অনুশীলন শুরু করলে বোঝা যাবে কেমন হয়।’ তাসকিনের চেয়ে রুবেল হোসেনের ইনজুরির অবস্থা ভালো। বায়েজিদ খান বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কাফ মাসলের ইনজুরিতে পড়েছে সে। ৪-৬ সপ্তাহ সময় লাগার কথা। ইতিমধ্যে তিন সপ্তাহ শেষ হয়েছে। রুবেলের উন্নতি বেশ ভালোই। আজ প্রথম রানিং শেষ করল। আশা করছি ঠিক সময়েই ও সেরে উঠবে।’ তবে শফিউলের ইনজুরি বড় কিছু নয় বলে জানালেন ফিজিও, ‘শফিউলেরটা খুব বড় ইনজুরি না। ও প্রায় সেরে উঠেছে। ওর রানিংয়ের গড় প্রায় ৮০ ভাগ এসে গেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ আসলে ও বোলিং শুরু করতে পারবে।’ তাহলে তো জিম্বাবুয়ে সিরিজে এদের দলে পাওয়ায় অনিশ্চয়তা থাকছে? বায়েজিদ খানও তেমনই মনে করেন, ‘এই মুহূর্তে যদি বিবেচনা করি রুবেল ওই সময়ে প্রায় ফিট থাকবে। কিন্তু তাসকিনের ব্যাপারে এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। ও পুরোপুরি বোলিং শুরু করলে বোঝা যাবে। রুবেলের ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনা আছে।’ তবে শফিউল তখন খেলার অবস্থাতেই থাকবেন বলে জানান তিনি। দলে ফিরতে কঠিন ঘাম ঝরাচ্ছেন রুবেল হোসেন। এখনো পুরোপুরি ফিট না থাকলেও ডানহাতি এই পেসারের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ে সিরিজ, ‘সামনে বিপিএল আছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে। এই দুইটাই বড় জিনিস। আমার নজর এদিকেই। আমি আশাবাদী যে জিম্বাবুয়ে সিরিজটা খেলতে পারব।’