অশুভ শক্তির বিনাস এবং শুভ শক্তির অভ্যুদয় ঘটাতে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন। আর দেবীর আগমনে উৎসবে মাতে বাঙালি হিন্দু। তবে দেবী দুর্গা বিদায়ের ক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। তিনি এবার ফিরবেন ‘কৈলাসে দেবালয়ে’। শুক্রবার বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাঁচদিনব্যাপী সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে শারদীয় দুর্গাপূজার।
যদিও বিজয়া দশমীতে ‘বিহিত পূজা’ আর ‘দর্পণ বিসর্জনের’ মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার শাস্ত্রীয় সমাপ্তি ঘটেছে বৃহস্পতিবারই।
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে,এ বছর নবমী ও দশমী তিথি একই দিনে থাকায় শাস্ত্রীয় বিধান মেনে পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা বৃহস্পতিবার একই দিনে শেষ করা হয়।
পঞ্জিকা অনুযায়ী দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন, যাবেন দোলায় চড়ে।
বলা হয়, দেবীর এমন আগমনের ফল হল পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগ, শোক ও হানাহানি; আর দোলায় চেপে তার বিদায়ের অর্থ হল মড়ক।
বৃহস্পতিবার শাস্ত্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ভক্তদের দেবী দর্শন চলে দিনভর। এই উৎযাপন চলবে শুক্রবার প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।
প্রতিমা বিসর্জনের আগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পক্ষ থেকে শুক্রবার বিজয়া দশমীর বৃহৎ বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা বের করা হবে। এদিন বিকেল তিনটায় পলাশীর মোড়ে রাজধানীর ২২৫ টি মন্ডপের বেশিরভাগ প্রতিমা নিয়ে আসা হবে। দেবী দুর্গাসহ অন্যান্য দেব-দেবীকে এ শোভা যাত্রাসহ সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিসর্জনের মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হবে। দেবী মর্ত্যলোক থেকে আবার স্বর্গলোকে গমন করবেন। সেখানে প্রতিমা বিসর্জন শেষে মন্দিরে ‘শান্তির জল’ নিয়ে আসা হবে এবং সন্ধ্যায় মণ্ডপে হবে ‘আশির্বাদ প্রদান’।
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বিজয়া দশমী উপলক্ষে দেশের সকল মানুষকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
পরিষদ শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মূখর পরিবেশে পূজা উদযাপনে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করায় সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
–