প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠান দেখছিলেন, এর মধ্যেই ফোন দেওয়া হলো এনামুল হক বিজয়কে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ আসরে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে খেললেও, এবারে তাকে কিনে নিয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। খুশী বিজয়। জানালেন, তামিম ইকবালের সঙ্গে খেলতে পারাটা এখানে উপরি পাওনা। দুই বছর পর আবারো বিপিএল এবং ঢাকা থেকে চিটাগাং; কেমন লাগছে? প্রিয়.কমকে এর উত্তর দিতে গিয়ে আবেগের ধারেকাছেও গেলেন না জাতীয় দলের এই ওপেনার, ‘দেখুন আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। সেখানে কোন দলে গেলাম, সেটা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা হয় না। খেলতে পারাটাই মূল ব্যাপার। ভালো লাগছে, চিটাগাংয়ে সুযোগ পেয়েছি।’ নির্দিষ্ট কোন দলে খেলার ইচ্ছা ছিলো কিনা… বললেন, ‘না ওরকম কিছু না। দেখেন চিটাগাং ভাইকিংস বড় দল। তামিম ভাই রয়েছেন। সবসময়েই তার সঙ্গে খেলতে ভালো লাগে। তার সাথে ওপেন করাটা উপভোগ করি। তো সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়, ভালোই হয়েছে।’ তামিম-তাসকিনের মতো দেশি তারকার সঙ্গে সঙ্গে দলে ভেড়ানো হয়েছে মোহাম্মদ আমির, সাইদ আজমল এবং রবিন পিটারসেনের মতো ক্রিকেটারকে। তাই দলটি ‘ব্যালান্সড’ তা বলা অপেক্ষা রাখে না। এ দলে সুযোগ পাওয়াতে যেমন খুশী, তেমনই দলের ভারসম্য নিয়েও খুশী বিজয়, ‘বিদেশী ক্রিকেটাররা সবসময়েই এ ধরণেই টুর্নামেন্টে অন্যরকম প্রভাব যোগ করে। এই দলের এমন ভালো কিছু বিদেশী ক্রিকেটার রয়েছে যারা দলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। আমি মনে করি, সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই হবে।’ তবে দলকে চ্যাম্পিয়ন ছাড়া অন্যকিছুই ভাবছেন না বিজয়। টুর্নামেন্টের লক্ষ্য কি থাকবে- জানতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হতে মাঠে নামবো!’ বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেশি ক্রিকেটারদের মূল্য বৈষম্য, প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে ক্রিকেটার বিতরণ; এগুলো নিয়ে গুঞ্জন এখনো চলছে। এ ব্যাপারে বিজয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে, কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। বলে রাখা ভালো, টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামবেন এনামুল হক বিজয়রা। প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স।