কর্মজীবী মানুষদের অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অনেক সময় ক্ষুধা পায় বা অনেক কিছুই খাওয়ার ইচ্ছে হয়। তখন দেখা যায় তেলে ভাজা সমুচা, শিঙাড়া, পুরি থেকে শুরু করে এমন অনেক খাবার খাওয়া হয়ে যায় যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় কাজে এতোটাই ব্যস্ত থাকা হয় যে প্রয়োজনীয় খাবারের সময়টাও পাওয়া যায় না। এর ফলে তখন শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। কাজে মনোযোগেরও অভাব হতে পারে। এরপর যখন খাবার সময় হবে তখন অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যাবে। সবার উচিত কাজের ফাঁকে কিছুটা বিরতি দিয়ে কিছু খেয়ে নেয়া এবং সেই খাবারটা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার হতে হবে। তাই অফিসে স্ন্যাক্স জাতীয় এমন কিছু খাবার রেখে দিন যা আপনার হঠাৎ লেগে যাওয়া ক্ষুধা কমানোর সাথে সাথে সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়ার প্রয়োজনটাও পূরণ করতে পারে।
এখানে সেই খাবার গুলো সম্পর্কে জানাচ্ছি-
এই দুটি খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি অসাধারণ সমন্বয়। দুটি খাবারই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং খেজুরের মিষ্টি স্বাদ ক্ষুধা কমিয়ে তৃপ্তি আনতে সাহায্য করে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাদের ওজন একটু বেশি তারা পরিমানে কম খাবেন কারন এই দুটি খাবারে অনেক বেশি ক্যালরি থাকে।
শিঙারা, সমুচার মত তেলে ভাজা খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার ওটমিল খেয়ে নিতে পারেন। এটি হতে পারে একটি উত্তম নাস্তা। বেশি ভেজাল না করে একটা কাপে কিছুটা ইন্সট্যান্ট অটমিল নিয়ে দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন। চাইলে সাথে কিছু বাদাম যোগ করে নিতে পারেন।
অফিসে রাখতে পারেন কিছু তাজা ফল এবং চাইলে কিছু কাঁচা খাওয়া যায় এমন কিছু সবজিও রাখতে পারেন। এই খাবার গুলো খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকার অনুভূতি পাওয়া যায়। আপেল, পেয়ারা কমলা সহ যেকোনো মৌসুমি ফল এবং শশা, গাজরের মত কিছু সবজি রাখতে পারেন।
ডুমুর ফলটি অনেক বেশি পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ। এটি প্রদাহ বিরোধী খাবার হিসেবে বেশ পরিচিত। তাই এই খাবার অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত যা অফিসে রাখা সম্ভব।
শুকনো ছোলাবুট ভাজা অনেকদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে এই বুট প্রক্রিয়াজাত করা খাবার ইচ্ছাকে কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া এই বুট খাদ্যআঁশ, পটাশিয়াম ইত্যাদির মত পুষ্টি গুনে ভরপুর থাকে।
কোকো মনকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এটিও অফিসে রাখার মতো অন্যতম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে যাদের ওজন বেশি তারা অবশ্যই পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখবেন।
লেখিকা
শওকত আরা সাঈদা(লোপা)
জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ
এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্থ
খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ)
মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া
– See more at: http://www.priyo.com/2015/Oct/31/176537-%E0%A6%85%E0%A6%AB%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B#sthash.hz9yjHjb.dpuf