বিপিএল’র ‘প্লেয়ার বাই চয়েসের’ দিন জানা যায় রংপুর রাইডার্স ও চিটাগাং ভাইকিংস দুই দলের সঙ্গেই চুক্তি করেছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট হিরো তিলকারত্নে দিলশান। এমনকি চিটাগাং ভাইকিংসের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন তিনি বিপিএল’র তৃতীয় আসর খেলার জন্য। নিয়ম অনুযায়ী একজন ক্রিকেটার দুই দলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেন না। যে কারণে তাকে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। দুই দল ও তার সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিপিএল গভর্নি কাউন্সিলকে দায়িত্ব দেন। এরপর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাঈল হায়দার মল্লিক বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানান। কিন্তু এরই মধ্যে দিলশানের সঙ্গে কথা বলে জানা  গেছে আরও গভার সমস্যার কথা। চিটাগাং ভাইকিংসের কাছ থেকে নেয়া টাকাকে তিনি বিপিএল’র বকেয়া পাওয়া হিসেবে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই আসরে তিনি রংপুর রাইডার্সে খেলার জন্য চুক্তিও করেন। এই বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘দিলশান মনে করেছে সে গতবারে বকেয়া টাকা পেয়েছে। কিন্তু  সেতো গতবার ঢাকার হয়ে  খেলেছিল। তাই সে ভুল করে বকেয়া ভেবে চট্টগ্রাম থেকে টাকা নিয়েছে। দিলশান রংপুরের হয়ে খেলতে চাচ্ছে। সে বলেছে যদি সমস্যা হয় তাহলে আমি টাকা ফেরত দিয়ে দেবো এবং রংপুরে খেলতে চাই। দিলশান বলছে চট্টগ্রামের কাছ থেকে সে পেমেন্ট নিয়েছিল কিন্তু তার সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি।’
এই সমস্যা সমাধানে এখন দুই দলেরই কাগজপত্র দেখা হবে বলে জানান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা এই ২ দলের  পেপারস দেখব। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা দেখবো কোনটা বৈধ। কার দাবিটা এখানে যৌক্তিক। এগুলো দেখে কালকে কিংবা পরশুর মধ্যে আমরা একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবো।’ তবে শেষ পর্যন্ত দিলশানের কোন দোষ খুঁজে পেলে তার তাকে নিষিদ্ধও করা হতে পারে বলেন জানান জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘গতবার সে খেলেছে ঢাকাতে। তার এটি ভাবার কোন কারণ নেই যে চিটাগাং ভাইকিংসের কাছ থেকে আগের আসরে বকেয়া টাকা নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত যদিও দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে ওকে এই আসরে আর খেলতে দেয়া হবে না।’ অন্যদিকে যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত রংপুর রাইডার্সের মালিক মোস্তফা রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের দল প্রস্তুত হয়ে গেছে। আমরা প্রধান কোচ হিসেবে জার্গেনসন ও বোলিং কোচ হিসেবে মো. রফিককে নিয়োগ দিয়েছি। এখন দিলশানের সমস্যাটাই বাকি। তবে এই বিষয়ে বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিবে তাই মানতে রাজি। যদি তারা ওর দোষ পায় তাহলে নিষিদ্ধ হলে আমরা নুতন ক্রিকেটার খুঁজব। কিন্তু আমি যতটা জানি দিলশান আমাদের দলেই খেলতে চায়। দেখি কি হয়।’