সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা আজ রোববার রাজধানীর শিক্ষা ভবনের সামনে সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। সকাল ১১টায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর চত্বরে এই কর্মসূচিতে সারা দেশের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। গতকাল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি নাসরীন বেগম ও মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষা ক্যাডারের পদসমূহের বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিকে বিবেচনায় না এনে অধ্যাপক পদের বেতন স্কেল ও গ্রেড অবনমন করা হয়েছে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিল করায় সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের সকল স্তরের বেতন বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন স্তরের প্রায় ১৫ হাজার সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে দাবি করেন তারা। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে সমিতি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারের পদসমূহ আপগ্রেডেশনের দাবি জানিয়ে আসছেন। ১ নম্বর গ্রেডের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, নায়েম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) পরিচালকের পদ, স্নাতক/স্নাতকোত্তর কলেজের উপাধ্যক্ষ, শিক্ষা বোর্ড সচিব এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য পদ ২ নম্বর গ্রেডে উন্নীতকরণ চান শিক্ষকরা। উচ্চপদে পর্যাপ্ত পদ না থাকায় পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না হওয়া এবং বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতির কারণে ক্যাডারের ভেতরের আর্থিক বৈষম্য নিরসনে পূর্ব প্রচলিত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল, প্রজাতন্ত্রের ২৯ ক্যাডারের একটি ক্যাডার হিসেবে অন্যান্য ক্যাডারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমতাভিত্তিক সুবিধা প্রদান করে গাড়ি ক্রয়ের ঋণ ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা প্রাপ্তির দাবি জানান শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, এরআগে দাবি পূরণে সরকারি কলেজ ও দফতরগুলোতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা ক্লাস বর্জনসহ কর্মবিরতি পালন করেছেন।