বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পাল্টে যাচ্ছে জীববৈচিত্র। পরিবর্তন আসছে মানুষের জীবনেও। তবে এর ফলে মানুষের জন্মহার বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ছে মানুষের শারীরিক সম্পর্কের চাহিদা কমে যায়। তারা বলছেন, প্রচ- গরমের কারণে মানুষের উর্বরতা শক্তি কমে যেতে পারে। শারীরিক সম্পর্কের আবেদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর এ সব কারণে কমে যেতে পারে জন্মহার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মিরর। এতে বলা হয়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ে, বন্যা ও খরা দেখা দেয়। ফলে তাতে মানুষের মানবিক জীবধারার ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জন্মহার কমে যাওয়ার প্রবণতা। এ বিষয়ে একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ। এতে বলা হয়েছে, গবেষকরা প্রচ- গরম ও জন্মহার বৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। নয় মাস পরে একটি গরমের দিনে দেখা গেছে শীতের দিনের চেয়ে গরমের দিনে জন্মহার বৃদ্ধি শতকরা ০ দশমিক ৭ ভাগ কমে যায়। এতে ইঙ্গিত মেলে যে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উর্বরতা শক্তি কমে। মানুষের জৈবিক চাহিদা কমে। এমন কি দুটোই আক্রান্ত হয়। তাই গবেষকরা বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে, যে হরমোনের কারণে মানুষের মাঝে শারীরিক সম্পর্কের আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া উচ্চ তাপমাত্রা পুরুষের শুক্রানুর মানের অবনতি ঘটতে পারে। নারীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। এ গবেষণাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনে একই রকম ফল মিলবে বলে রিপোর্টে বলেছেন এর লেখক অ্যালান বারেকা। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো দেশে জন্মহার কমে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এখানে উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সের তুলান ইউনিভার্সিটির একজন সহযোগী প্রফেসর অ্যালান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা ও ইউসি সান্তা বারবারার শিক্ষাবিদদের সম্বয়ে এই গবেষণা চালিয়েছেন।