সৌদি আরবের মদিনায় অনেক মাস ধরে বেতন না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কমপক্ষে এক হাজার শ্রমিক। তারা কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্স ও প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে কাজ করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। তবে ওইসব শ্রমিক কোন কোন দেশের তা জানা যায় নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিং ফাহাদ কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সের একটি সূত্র বলেছেন, সেখানে সব শাখার কাজ একদম বন্ধ রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, শ্রমিকরা কোম্পানির আবাসন খালি করে দেয়ার দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন। মদিনায় শ্রম অফিসের পরিচালক আওয়াদ আল হাজমি বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তার অফিসের পরিদর্শকরা এ ইস্যুর ফলোআপের দিকে নজর রাখছে এবং তারা শ্রমিকদের অভিযোগ সম্পর্কে শুনছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তার পরিদর্শকরা বিভিন্ন দেশের চার শতাধিক শ্রমিকের অভিযোগ শুনেছেন। তারা অভিযোগ করছেন যে, তিন মাস ধরে তাদেরকে বেতন দেয়া হচ্ছে না। আওয়াদ আল হাজমি বলেন, এ অভিযোগ রিয়াদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মদিনায় ওই অফিস সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কোন কর্মকর্তা নেই বলে তা জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়কে। এর আগে গত মাসে ১০৮৬ জন শ্রমিকের বেতন বিলম্বিত করার কারণে প্রাথমিকভাবে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ওই কমপ্লেক্সের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আল আউফি বলেছেন, কমপ্লেক্সটি সরাসরি এ ইস্যুর সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনাটি ওই কোম্পানির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যকার। ওদিকে প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের মুখপাত্র খালেদ ওয়াইদাহ বলেছেন, রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বেশ কিছু শ্রমিক অনুপস্থিত থাকায় সেখানকার ট্রাফিক কর্মকা- প্রভাবিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, বিমান বন্দরের কাজ যথারীতি চালিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের আছে দ্বিতীয় পরিকল্পনা। তবে বিমানবন্দরের একটি সূত্র বলেছেন, বেশ কিছু ক্লিনার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের শ্রমিক কাজে যাচ্ছেন না। কারণ দুই থেকে চার মাস ধরে তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবেরও কিছু কর্মচারীর বেতন দেয়া হয় নি। তিনি আরও বলেন, পুলিশ, শ্রম অফিসের কিছু প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে একটি কমিটি। তারা শ্রমিকদের আবাসস্থলে গিয়ে তাদের অভিযোগ শুনেছেন। তাদেরকে সমন করেছেন। কোম্পানির কর্মকর্তারা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।