রাজধানীর মুগদা এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আল আমিন (২০) নামে এক ফুচকা বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জুয়েল ও বাবর নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে, ঢাকায় পৃথকস্থানে দুইজনের অপমৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- হামিদা বেগম (২০) ও নাইমুল হাসান নিক্সন (৩৮)। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ঠা নভেম্বর রাত ১২টায় মুগদা থানাধীন মদিনাবাগের ফকিরের বাড়ির গলিতে দুর্বৃত্তরা আল আমিনের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে ধানমন্ডির জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার রাত ১টায় ওই হাসপাতালে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে মুগদা থানার এসআই আজমল হোসেন নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান। এসআই আজমল হোসেন জানান, মুগদার মদিনাবাগের আলমাসের বাড়িতে ভাড়া থাকতো আল আমিন। মদিনাবাগের রাস্তার পাশে তিনি ফুচকা বিক্রি করতেন। ফুচকা বিক্রির বিষয়ে আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জেরে ও আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জুয়েল ও বাবর নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে জড়িত অন্য যুবকদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তার পিতার নাম মনির হোসেন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের চানপুর এলাকায়। অপরদিকে, শাহজাহানপুর থানাধীন শিল্পী হোটেলের পাশে বুলবুলের বাড়িতে স্বামী ইমরানের সঙ্গে থাকতেন হামিদা বেগম। গতকাল সকাল ৯টায় ওই বাড়িতে তার স্বামী তাকে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন যে হামিদা বেগম সিলিং ফানের সঙ্গে গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এরপর তিনি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বামী ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে কোন সন্তান নেই। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার কলাগাছিয়া এলাকায়। এদিকে, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর সুরুজনগরের ৭৪/২ নম্বর বাড়ির ছয়তলা ফ্ল্যাটে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন কাপড় ব্যবসায়ী নিক্সন। গতকাল দুপুর ১২টায় পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন যে, নিক্সন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তার পিতার নাম আবদুল শুকুর ঢালী। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার নাওরী এলাকায়। পৃথক তিন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।