২০১৫ সালে মাধ্যমিক পাস করা মেধাবী চার হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থীকে এ বছর বৃত্তি দিয়েছে বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআরের আওতায় এ উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও আর্থিক অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয় ব্যাংকটি। শিক্ষাবৃত্তির ৯০ ভাগ গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী এবং ৫০ ভাগ ছাত্রীদের দেয়া হয়। শনিবার রাজধানীর মিরপুরে ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের এ বৃত্তি দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস তাবরেজ এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৮ সালে শুরু করে এ বৃত্তি দিয়ে আসছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এবারসহ এ পর্যন্ত মোট ৩৬ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দিলো ব্যাংকটি। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৃত্তি প্রকল্প দেশের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত। এর চেয়ে মহৎ কাজ আর হতে পারে না। শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কি হতে চায় সেটা নির্ধারণ করে ফেলা দরকার। উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য ঠিক করে সেদিকে ধাবিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শিক্ষাবৃত্তি বাংলাদেশের মানচিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে। সুবিধা বঞ্চিত অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বেনওয়া পিয়ের লাঘামে বলেন, সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের এ বৃত্তি প্রদান শুধু ভাল কাজই নয় এটা বিচক্ষণ বিনিয়োগও। এ বৃত্তি এখন একজনের উপকার করলেও ভবিষ্যতে তা পুরো সমাজের জন্য উপকারে আসবে। দেশ উপকৃত হবে। এ ছাড়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংক নারী শিক্ষার জন্য যে বৃত্তি দিচ্ছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি। ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, জন্মলগ্ন থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সব ধরনের সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে।