স্কুল শিক্ষার্থীদের এখন থেকে আর ব্যাংকে যেতে হবে না। স্কুল থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করবে ব্যাংক। যে টাকা তারা প্রতি মাসে জমাবে, তা ব্যাংকের ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার স্কুল থেকেই নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে বাচ্চাদের বিরতির সময় টাকা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হবে, সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বিরতিতে (মাসে ন্যূনতম একবার) শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় সংগ্রহের জন্য ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’ ‘এছাড়া স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে সব ব্যাংক স্বনির্ধারিত বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরবর্তী বছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে মহাব্যবস্থাপক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। তফসিলি ব্যাংকের প্রতিটি শাখা বছরে ন্যূনতম একবার তার কর্ম এলাকার মধ্যে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) সব ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এলক্ষ্যে সব ব্যাংক শিক্ষার্থীদের উপযোগী আর্থিক শিক্ষা উপকরণ (পুস্তিকা, লিফলেট, ব্রশিউর, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, ভিডিও প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি) প্রস্তুত করবে। এ কর্মসূচি জানুয়ারি, ২০১৬ এর মধ্যে শুরু করতে হবে এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে হবে। এফআইডি সার্কুলার নং-০৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফিস/চার্জ গ্রহণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সেবা প্রদান বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সুযোগ থাকলে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুবিধা গ্রহণ করে এই সেবা কার্যক্রমের গতি বাড়াতে হবে। আর্থিক শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে প্রচার করতে হবে। ব্যাংকগুলো স্বনির্ধারণী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং আর্থিক শিক্ষা প্রসারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। স্বনির্ধারণী লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে কর্ম পরিকল্পনাও মহাব্যবস্থাপক, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে।