জমকালো আয়োজনে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ‘ঢাকা ফোক ফেস্ট ২০১৫’র পর্দা নামলো। মাছরাঙা টেলিভিশন এবং সান ইভেন্টস-এর যৌথ আয়োজনে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ উৎসবের শেষ দিন ছিলো গতকাল। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলো এদিন। বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে গতকাল শনিবার শেষ হওয়া এ উৎসবটিকে ঘিরে অনেক আগে থেকেই মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আগ্রহ তৈরি হয়েছিলো। আর তাইতো হাজার হাজার মানুষ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এ লোক সংগীতের মহোৎসবটি উপভোগ করেছেন। এর মধ্যে শুক্রবার রেকর্ডসংখ্যক দর্শক উপভোগ করেন উৎসবটি। এদিকে গতকাল শেষের দিনও আর্মি স্টেডিয়ামে লোকসংগীত পিপাসুদের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। এদিনও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর উৎসবস্থলে প্রবেশ করতে হয়েছে দর্শকদের। এদিন উৎসব শুরু হয় বিকাল পাঁচটায়। রাত ১টা পর্যন্ত চলে বিভিন্ন শিল্পীর পরিবেশনা।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সাধনার অনবদ্য নাচের পারফরমেন্স দিয়ে। এরপর ইসলামউদ্দিন কিসসাকার নিজের ফোক সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মুগ্ধ করেন দর্শকদের। পরবর্তীতে খানিক বিরতি নিয়ে জলের গান স্টেজে আসে। মুহূর্তেই তাদের অনবদ্য পরিবেশনায় যেন প্রশান্তি ছেয়ে যায় স্টেডিয়াম জুড়ে। একে একে কয়েকটি গান পরিবেশন করেন তারা। এরপর পার্বতী বাউল, ইন্ডিয়ান ওশিয়ান, দ্য ম্যাঙ্গানিয়ারস ফ্রম হামিরার লোক সংগীতে অন্যরকম উন্মাদনায় ভাসেন দর্শক। তবে গতকাল শেষের দিনে উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন আবিদা পারভীন, কাঙ্গালিনী সুফিয়া ও আনুশেহর পারফরমেন্স। কাঙ্গালিনী সুফিয়া তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে একে একে কয়েকটি লোকসংগীত পরিবেশন করেন। আনুশেহ স্টেজে সংগীত পরিবেশন করতেই করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে স্টেডিয়াম। টানা কয়েকটি গান গেয়ে তিনি মুগ্ধ করেন দর্শকদের। এরপর আবিদা পারভীনের মায়াবি লোকসংগীতের পরিবেশনা পূর্ণতা দান করে লোকসংগীতের উৎসবের এই শেষের দিনটিকে। সব মিলিয়ে উৎসবের তৃতীয় দিনটি ছিলো রঙিন ও একই সঙ্গে খানিক বেদনার। কারণ তিনদিনব্যাপী অন্যরকম এক ঘোরে দর্শকদের বেঁধে রেখেছিলো উৎসবটি। এবার বিদায়ের পালা। তবে উৎসব কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন নিয়মিতভাবে প্রতি বছর এ উৎসবটি করার। উল্লেখ্য, বিশ্বের ৫টি দেশ থেকে ১০০ এরও বেশি শিল্পী জড়ো হয়েছিলেন এই উৎসবে গাইবার জন্য। বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য এতবড় পরিসরের সাংস্কৃতিক আয়োজন এই প্রথম। এ উৎসবের ব্রডকাস্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে মাছরাঙা টেলিভিশন, সহযোগিতায় বেঙ্গল ডিজিটাল, পি আর পার্টনার মিডিয়াকম লিমিটেড, মেডিক্যাল পার্টনার স্কয়ার হসপিটালস্ লিমিটেড, টেকনোলজি পার্টনার স্কয়ার ইনফোমেটিক্স, সিকিউরিটি পার্টনার এইজিস সিকিউরিটি ফোর্স, হসপিটালিটি পার্টনার আমারি ঢাকা, রেজিস্ট্রেশন পার্টনার সহজ ডট কম, কো-স্পন্সর রুচি, ফুড পার্টনার রাঁধুনী এবং আয়োজনে আছে সান ইভেন্টস।