২০১০ সালে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জাড়িয়ে ক্রিকেট থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের তরুণ পেসার মোহাম্মদ আমির। এ বছরই তিনি সব নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন। খেলেছেন পাকিস্তানের ঘরোয়া লীগও। কিন্তু বিপিএলের মত আন্তজার্তিক তকমা পাওয়া আসরে এবারই প্রথম। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের হয়ে নিয়েছেন ৩০ রানের খরচায় ৪টি উইকেট। দলের অন্য কোন বোলারই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি মিসবাহদের উপর। রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংসের খেলা জমে উঠেছিল দুই পাকিস্তানির লড়াই। শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে মিসবাহর অভিজ্ঞতারই। তাই ম্যাচ শেষে মিবাহকে নিয়ে ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘ওদের ৩০ রানে ৪ উইকেট ছিল। ও যেভাবে ইনিংসটি শুরু করেছে। সিঙ্গেল নিয়ে খেলেছে। এরপর আস্তে আস্তে বড় শট খেলা শুরু করেছে। আমি ১১তম ওভারে মনে হয় আউট হয়েছি। ওই সময় ক্রিজে থেকে যদি বাউন্ডারি না মেরে সিঙ্গলস নিয়েও খেলতাম তাহলে অন্তত ২০০ রান হত। এরকম শুরু সব সময় হবে না। এগুলো শিক্ষণীয় জিনিস। দেশী ও বিদেশী সবার জন্যে শিক্ষণীয়। মিসবাহ অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছে।’
আমিরের বোলিং নিয়ে তামিম বলেন, ‘সে খুবই ভালো ও চমৎকার বোলিং করেছে। সামনে আমি এরকম বোলিংই ওর থেকে প্রত্যাশা করছি। আজ ওর থেকে যা চেয়েছি ও ঠিক তাই করেছে। সে সামনে আরও ভালো করবে। অনেক দিন পর এরকম ক্রিকেট খেলছে। স্বাভাবিকভাবে একটু নার্ভাস হতেই পারত। কিন্তু সেটা বুঝতে দেয়নি। তাকে দেখে মনে হয়ে সে পুরো তৈরী। সে ওখানে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট খেলেছে। টি-টোয়েন্টি হয়ত অনেক দিন পরে খেলেছে। কিন্তু আমি আশাবাদী সে আরও ভালো করবে।’
সেই সঙ্গে নিজের ভুলটাও স্বীকার করে নিয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম সেভাবে খেলতে পারলে আরও ২০টা রান বেশি হত। মাঝখানে একটু সমস্যা হয়েছিল। দুইটা ক্যাচ আমাদের ক্ষতি করেছে। এটা খেলার একটি অংশ। কোনো খেলোয়াড়ের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তারা খুব ভালো খেলেছে। আমির খুব ভালো বল করেছে। তাসকিন ও শফিউল তার কাজ করেছে ঠিকমত। এটা একটা ম্যাচ যেটা যেকোনো দিকেই যেতে পারত।’