মুম্বইয়ের এক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশী অবৈধ নাগরিকদের জামিন আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে এমন বাংলাদেশী জামিন নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। গত কয়েক দিনে আদালত ৭০ জন বাংলাদেশীর জামিন আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। ফলে তারা এখন ভারতে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে কারাগারে ভুগছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য এশিয়ান এইজ। এতে বলা হয়, গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশীদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন। মুম্বই পুলিশের অপরাধ শাখা একটি রিপোর্টে বলেছে, এসব বাংলাদেশী সহজেই জামিন নিয়ে ঠিকানা পাল্টে ফেলে। ফলে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, পুলিশের স্পেশাল শাখা গত বছর এমন ৪৫০ জন বাংলাদেশীকে আটক করেছে। এ বছর এ সংখ্যা ৮৫০। এ পর্যন্ত দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৪২ জনকে। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যখন তাদেরকে আটক করা হয় তখন তাদের কোন নিকট আত্মীয়কে খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের অনুরোধে আদালত আমাদেরকে সময় দিয়েছেন এসব বাংলাদেশী যে ডকুমেন্ট দিয়েছেন তা যাচাই করতে। আমরা তা যাচাই করতে বাংলাদেশে টিম পাঠাবো। যদি দেখি তাদের দেয়া তথ্য ভুয়া তাহলে তা আমরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তুলে ধরবো। ততদিনে এসব বাংলাদেশী থাকবেন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত এসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে মুম্বইয়ের গোবান্দি, শিবজি নগর, বাঙ্গেনওয়াদি, বান্দ্রা, মানখুর্দ, ডেংরি, রে রোড, মাজগাঁও থেকে। এ ছাড়া থানের ভায়েনদার, মিরা রোড, ভাসি, কোপার, নেরুল, সিউডস, মুমব্রা, কালওয়া, খারগড় থেকেও তাদের আটক কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।