ছন্দে ফিরলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তারসঙ্গে মনোবল জাগানো জয়ে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ লা-লিগায় সর্বশেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় রিয়াল মাদ্রিদ। এতে দলের খেলোয়াড়দের মানসিকতা ছিল তলানিতে। দলের প্রাণভোমরা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও ছিলেন তিন ম্যাচ গোলশূন্য। কিন্তু ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত জয় তুলে নিলো তারা। ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেতস্কতে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে তারা। রিয়ালের চার গোলেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অবদান। নিজের দুই গোল করার পাশাপাশি অন্য দু’টি গোল তিনি বানিয়ে দেন। এতে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়া দলটি ‘এ’ গ্রুপে ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্র’তে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের সঙ্গে শেষ ষোলোর টিকিট কেটেছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। যারা একই দিনে সুইডেনের ক্লাব মালমোকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-০ গোলে। পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। এছাড়া জøাতান ইবরাহিমোভিচ করেন একটি গোল।
শাখতারের মাঠে ম্যাচের ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এরপর ১৩ মিনিটের মধ্যে সফরকারীদের চমকে দেয় স্বাগতিকরা। ৭৭, ৮৩ ও ৮৮ মিনিটে ভিন্ন তিন খেলোয়াড় তিন গোল করে ব্যবধান অনেক কমিয়ে আনে। এক পর্যায়ে ড্র করার সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলে তারা। গ্রুপ পর্বে আগের ৪ ম্যাচে রিয়ালের জালে কেউ বল জড়াতে পািেন। কিন্তু তারা প্রতিপক্ষের জালে বল জাড়িয়েছে ৭ বার। প্রথম লেগে এই শাখতারের বিপক্ষে রিয়াল জেতে ৪-০ গোলে। কিন্তু এদিন গ্রুপ পর্বে রিয়ালের জালে প্রথমবারের মতো কোনও দল বল জড়ালো। এদিন গ্যারেথ বেলের পাস থেকে ১৮ মিনিটে সফরকারী রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৫০ মিনিটে রোনালদোর পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লুকা মদরিচ। এর ২ মিনিটে বাদে ফের রোনালদোর সাহায্যে রিয়ালকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন দানি কারভাহার। আর ৭০ মিনিটে সফরকারীদের বড় জয় নিশ্চত করেন রোনালদো। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ৬৮ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৬৯ গোল রোনালদোর।