ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করছেন দেশে আইএস নেই প্রমাণ করতে। যদিও এক সময় তারা তালেবানের কথা বলতেন। এখন বলছেন উল্টোটা। কারণ সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় দেশে আইএস আছে প্রমাণ হলে তা দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য পাঠাতে পারে। তাই আইএস আছে একথা বলা উচিত নয়। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কমরেড নূরুল হক মেহেদীর স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ফজলুল হক বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যতদিন বিদেশি সৈন্য থাকবে ততদিন জঙ্গিবাদের প্রকাশ ঘটবে। কারণ জাতীয়তাবাদই জঙ্গিবাদীদের মূল চেতনা। যদিও তারা বিভ্রান্ত মত নিয়ে আত্মপ্রকাশ করছে। তারা বলতে চায় আমাদের দেশের সম্পদ আমরা ভোগ করবো। আমাদের দেশের সন্ত্রাস স্বৈরাচার আমরা দমন করবো। তাই আমাদেরও উচিত মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিদেশী সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করা। বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক কমরেড টিপু বিশ্বাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি কমরেড সাইফুল হক, রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, মোসাদ্দেক হোসেন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, কোন সরকার কমরেড মেহেদীকে আত্মসমর্পণ করাতে পারেনি। তিনি কোন সরকারের সঙ্গে আপস করেননি। তাই তার আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
তারা বলেন, গাছের পাতা পড়লেও সরকার ভয় পায়। তাই সামাজিক গণমাধ্যম বন্ধ করে গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার কারণে সরকারের অন্যসব অপকর্ম জায়েজ হয়ে যাবে না। বেলুনের বাতাস বের হতে না পারলে তা ব্লাস্ট হয়। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধেও গণ-বস্ফোরণ হবে।