স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয় কি না, তা দেখার বিষয় বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদীয় বোর্ডের সভার সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
দলীয় সভানেত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী, উপদেষ্টা পরিষদ, সম্পাদকমণ্ডলীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
বিএনপির উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের মধ্যে একটা দ্বৈততা আছে। বিএনপি নির্বাচনে ঠিকই অংশগ্রহণ করছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। শুধু জাতীয় ও উপনির্বাচন হলে সেখানে বিরত থাকছে। আর বাইরে বলে বেড়াচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়নি, নির্বাচন ঠিক হচ্ছে না। এবার তো দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে। এবার একটু দেখতে চাই। নিজ নিজ মার্কা নিয়ে এখন নির্বাচনটা করে কি করে না, সেটা দেখার বিষয় আছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আর তারা বলতে পারবে না নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। কারণ দলীয় প্রতীক নিয়ে তারা তো করল। আর না করলে এটা তাদের দলের জন্য ক্ষতি। এখন তারা কোন পথে যাবে, এটা তাদের বিষয়। এটা আমাদের বিষয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে নাই, বয়কট করেছে। শুধু বয়কট করে নাই, বয়কট করার নামে মানুষ হত্যা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করা থেকে শুরু করে নির্বাচন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ৫০০ স্কুল-কলেজে হামলা করেছে। রীতিমতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। আল্লাহর রহমতে জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিল বলে তারা প্রতিহত করতে পারে নাই। এমনকি ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেটা, উন্নত দেশে যে পরিমাণ ভোট পড়ে, তার চেয়ে বেশি পড়েছে।’
একই বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি বলা যাবে না।’
জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি বললে আদালতের রায়ের অবমাননা হবে বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সেনাপ্রধান থেকে জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকে উচ্চ আদালতের অবৈধ ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও এরশাদের ক্ষমতা দখল সম্পূর্ণ অবৈধ। উচ্চ আদালত সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করেছে।’