প্রতিপক্ষের কাছে নিজেদের ভয়ঙ্কর রূপ ধরে রেখেছেন বার্সেলোনার স্ট্রাইকার ত্রয়ী মেসি-সুয়ারেজ-নেইমার। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে চলতি বছর বার্সার এ তিন স্ট্রাইকার পেয়েছেন মোট ১২৫ গোল। বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়া ২০১৫ সালে ইউরোপের কোন দলেরও এত গোলের রেকর্ড নেই। ২০১৫ সালে বার্সেলোনা তারকারা প্রতিপক্ষ জালে জড়িয়েছেন মোট ১৬০ গোল। এর ১২৫ গোলের কৃতিত্ব লাতিন আমেরিকার স্ট্রাইকারত্রয়ী আর্জেন্টিনার ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসি, উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেজ ও ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমার ডা সান্তোসের। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে উইরোপের ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বাধিক ১২৫ গোলের রেকর্ড বার্সার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার জার্মান দল বায়ার্ন মিউনিখের। এমন রেকর্ডে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদের আপাতত মলিন ছবি। ১লা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ দল সাকুল্যে পেয়েছে ১১২ গোল। এক মওসুমে সর্বাধিক গোলের রেকর্ডটি গতবার ভেঙে দেন এমএসএন খ্যাত মেসি-সুয়ারেজ-নেইমারই। এর আগে ২০১১’র মওসুমে সর্বাধিক ১১৭ গোলের রেকর্ড গড়েন রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার ত্রয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো-করিম বেনজেমা-গঞ্জালো হিগুয়েইন। হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে দুই মাস খেলার বাইরে থাকলেও চলতি বছর বার্সেলোনার জার্সিতে সর্বাধিক ৪৪ গোল পান লিওনেল মেসি। বছরের ১১ মাসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার পেয়েছেন ৪১ গোলে। এতে ৪০ গোলের কৃতিত্ব লুইস সুয়ারেজের। স্প্যানিশ লা লিগা ও ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে কাতালানরা প্রতিপক্ষ জালে ঠেলেছে ১৪ গোল। এর ১১ গোল দেখান এমএসএন। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে গোল পেয়েছেন আরও ১১জন তারকা। এতে চতুর্থ সর্বাধিক ৬ গোল পেয়েছেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। ২০১৫ সালে এ পর্যন্ত দলীয় ১০০ গোলের কৃতিত্ব দেখিয়েছে ইউরোপের ৮টি দল। তালিকায় এমন কৃতিত্ব নেই ইংলিশ কোন ক্লাবের।