টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। মান বজায় রেখে নিয়মিত অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা, আগামীর ভাবনা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন জ্যোতি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
কেমন আছেন? কেমন চলছে সব?
আছি বেশ ভালোই। তবে ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে ভালো খারাপের অনুভুতিটা হারিয়ে ফেলি। এ মূহুর্তে খুব দৌঁড়ের ওপর আছি। ঢাকা টু কক্সবাজার আবার কক্সবাজার টু ঢাকা। এভাবেই যাচ্ছে।
কোন নাটকের শুটিংয়ে কক্সবাজার যাচ্ছেন আর আসছেন?
‘উজান গাঙের নাইয়া’ ধারাবাহিকের শুটিং চলছে। এর শুটিং সেখানেই হচ্ছে। সে জন্য ঢাকা আর কক্সবাজার আসা যাওয়ার মধ্যে আছি। এখন (সাক্ষাৎকারটি নেয়ার সময়) বিমান থেকে নামলাম। এখানে দুদিনের শুটিং। আবার ঢাকায় গিয়ে দুটি খ- নাটকের কাজ শেষ করবো। এরপর আবার কক্সবাজার। শুটিং শেষ করে ১১ই ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবো।
তাহলে তো ব্যস্ততা আপনাকে ঘিরে ধরেছে…
অনেকটা সেরকমই বলতে পারেন। ব্যস্ততা আমাকে খুব আনন্দ দেয়। আবার মাঝে মাঝে বেশি চাপ হয়ে যায়। অবশ্য সব সামলে নিতে পারি। আর যখন একটা ভালো কাজ হয় তখন আর ওই চাপ কিংবা খারাপ লাগাটা থাকে না।
অন্য ধারাবাহিকের কি অবস্থা?
নতুন আরও চারটি ধারাবাহিকের কাজ চলছে। এছাড়া সৈয়দ শাকিলের ‘উল্টোস্রোত’, জুয়েল শরিফের ‘কথা ও অন্যান্য’, নরেশ ভূইয়ার ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’, বর্ন নাথের ‘কবি, কুসুম ক্যাক্টাস’ ও শ্রাবণ চৌধুরীর ‘আপন ঠিকানা’ ধারাবাহিকগুলোতেও অভিনয় করছি।
বিশেষ দিবসের কোনো নাটকে কাজ করছেন?
আসছে বিজয় দিবসের জন্য কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। এছাড়া ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেও বেশ কিছু নাটকের কাজ শেষ হয়েছে। সবকটির নাম এ মুহূর্তে মনে করে বলতে পারছি না।
‘অনিল বাগচীর একদিন’ ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ ছবিটি ১১ই ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে। এরই মধ্যে গেল মাসে এর প্রিমিয়ার শো হয়েছে। এরপর আমার প্রত্যাশার মাত্রা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। যারা দেখেছেন খুব প্রশংসা করেছেন। ছবিটিতে আমি একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। সেটারও দারুণ প্রশংসা পেয়েছি। সবমিলিয়ে টেনশন কমেছে প্রত্যাশা বেড়েছে। পাশাপাশি আরেকটি কথা বলতে চাই, অনিল বাগচীর উপন্যাসটি যারা পড়েছেন তারা ছবিটি দেখে আনন্দ পাবেন। কারণ বইতে পড়া কল্পনার চরিত্রগুলো এবার তারা পর্দায় দেখবেন। আশা করছি দর্শক হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন। আর নিরাশ হবেন না।
নতুন কোনো ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে কথা হয়েছে?
একটি নয়, ৩-৪টি ছবিতে কাজ করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো কথা বলতে চাই না।
টিভি নাটকে তো অনেকদিন হলো কাজ করছেন। এখনকার নাটক নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
টিভি নাটকের কাজের সিস্টেমে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। যা হতাশাজনক। বেশি কিছু বলবো না, বাজেট কমে যাওয়াতে নাটকের মান কমে গেছে। কিন্তু আমাদের শিল্পীদের পরিশ্রম বেড়ে গেছে।
দর্শক ভারতীয় চ্যানেলমূখী হয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে আপনার বক্তব্য কি?
দর্শক যেখানে মজা পাবেন সেখানেই যাবেন। আমরা যদি দর্শক ধরে না রাখতে পারি তাহলে সেটা আমাদেরই ব্যার্থতা। আর তাদের রুচি তৈরি করা ইন্ডাস্ট্রিরই দায়। এই গলাবাজির যুগে দর্শক এক দেশ নিয়ে পড়ে থাকবেন না। কারণ রিমোর্ট তাদের হাতের মুঠোয়।
ব্যক্তিজীবন কেমন কাটছে?
এটা ভালো বলবো না খারাপ বলবো বুঝতে পারছি না। ব্যক্তি আমিটাকে খুব বেশি সময় দিতে পারি না। বেশিরভাগ সময় কাজের মধ্যে কাটছে। আর সেটাই উপভোগ করছি।