গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী বলেছেন, সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল এরশাদের সামরিক সরকার। বর্তমান সরকারও একই পথে এগুচ্ছে। রাষ্ট্রতন্ত্রকে লুটপাটের যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতার ভারসাম্য নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে গিলে ফেলা হয়েছে। এমন অবস্থায় কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমরা সবাই দেখেছি। তাই পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা করার কোন কারণ নেই। সরকারের ইশারার বাইরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার ক্ষমতা নেই। এক চেটিয়াভাবে ক্ষমতা দখল করতেই পৌরসভা নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হচ্ছে। পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার ফলে আত্মীয়তন্ত্র আরও কায়েম হবে। যারা কেন্দ্রীয় নেতাদের খুশি রাখতে পারবে তারাই মনোনয়ন পাবে। দলের বাইরে গিয়ে কারও নির্বাচনের সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হচ্ছে। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ নির্বাচনে বৈষম্যমূলক অবস্থায় আছে। সরকারদলীয়রা হামলা করতে পারে এ ভয়ে বিরোধী সমর্থকরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাইবে না। পৌরসভা নির্বাচন যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন সেহেতু দলীয়ভাবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সে এলাকায় জনপ্রিয় নাও হতে পারে। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর একধিক প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পেলে একালায় কে জনপ্রিয় তা বুঝা যেত। কিন্তু দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ফলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণœ করা হয়েছে। নির্বাচনের পুরো কর্তৃত্ব নিজেদের দখলদারিত্বে নিতেই দলীয়ভাবে পৌরসভা নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার বলে মন্তব্য করেন জুনায়েদ সাকী।