জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। মিডিয়ায় দীর্ঘ পথচলা তার। শুধু একজন অভিনেত্রীই নন। একাধারে নাচ, গান ও উপস্থাপনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিচরণ স্বাগতার। তবে অভিনয়েই বেশি দেখা যায় তাকে। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন স্বাগতা। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
কেমন আছেন? কেমন চলছে সব?
খুব একটা ভালো নেই। মাথাব্যথা করছে। ভালো লাগছে না কিছুই। আর এমনিতে নাটকের কাজ করছি ঠিকঠাকভাবে।
এখন কোন নাটকের কাজ করছেন?
নতুন একটি ধারাবাহিকের কাজে হাত দিয়েছি কয়েকদিন আগে। এর নাম ‘সব পাখি নীড়ে ফিরে’। কয়েক পর্বের শুটিং করা হয়ে গেছে। এর বাইরে নতুন আরও একটি ধারাবাহিকের শুটিং করছি। এর নামটা ঠিক মনে করতে পারছি না। এছাড়া নতুন আরও কয়েকটিতে আগামী মাস থেকে কাজ করার কথা রয়েছে।
প্রচার চলতি অন্য ধারাবাহিকের কি অবস্থা?
‘পাল্টা’, ‘ধন্যি মেয়ে’সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। এছাড়া ‘দলছুট প্রজাপতি’ নাটকটির প্রচার শেষ হয়েছে সমপ্রতি।
খণ্ড নাটকে অভিনয় করছেন না?
করছি তো। তবে এখন তো আর ঈদের মতো বড় কোনো উৎসব সামনে নেই। তাই খুব কম করছি। আসলে খণ্ড নাটকের কাজ তো ঈদ বা বিশেষ কোনো দিনের জন্য বেশি নির্মাণ করা হয়।
গান ও উপস্থাপনাও করেন প্রায়ই। এখন সেসবের কি খবর?
এ মুহূর্তে আসলে গান কিংবা উপস্থাপনার কোনো কাজ করছি না। তাই আপাতত খবরও দিতে পারছি না। অভিনয়ে নিয়েই বেশি সময় কাটে।
খণ্ড ও ধারাবাহিকের মধ্যে কোন ধরনের নাটকে অভিনয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
এক কথায় বলি, খণ্ড নাটক। কারণ, এ ধরনের নাটকের গল্পটা শেষ হয়। আর সিরিয়ালে তো গল্প ঝুলে থাকে। দর্শককে অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু খণ্ড নাটকের ক্ষেত্রে তা হয় না। পুরো নাটকটা এক ঘণ্টায় শেষ হয়।
টিভি নাটকে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আপনার। এখনকার নাটক নিয়ে মূল্যায়ন কি?
আমার একটা অভিযোগ অনেক দিনের। বললে সব টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে নির্মাতা অনেকেই ক্ষেপে যাবেন। কিন্তু কথাটা বলা খুব জরুরি। কলকাতার টিভি মাধ্যম একসময় আমাদের দেখে দেখে নাটক বানাতো। আমাদেরটা দেখার জন্য তাদের আকাঙ্ক্ষার শেষ ছিল না। আর সেই আমরা এখন তাদের বস্তাপচা নাটক দেখে সেগুলো নকল করছি। আমি যে কয়টি নাটকে কাজ করছি দেখা যাচ্ছে সেগুলো ভারতীয় কোনো না কোনো সিরিয়ালের নকল। কিন্তু যেখানে ওরা আমাদের ফলো করতো সেখানে কেন আমরা তাদের সিরিয়াল কপি করছি। এখানে আসলে বাজেটসহ আরও কিছু দুর্বলতা রয়েছে। যে কারণে নাটকের ইন্ডাস্ট্রিটা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এ সংকট থেকে উত্তরণের উপায় কি?
আমাদের দর্শক দুই ধরনের। কিছু দর্শক ইউটিউবের। আর কিছু টিভির। টিভির দর্শক যারা রয়েছেন তারা বেশিরভাগই বাড়ির মা, বোন, ভাবি। তারা যখন একটি সিরিয়াল দেখতে বসেন তখন বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায়। একটু নাটক দেখিয়ে বিজ্ঞাপন। যে কারণে তারা চ্যানেল পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। বিজ্ঞাপন যদি কন্ট্রোলে রাখা যায় আর গল্প যদি মৌলিক হয় তাহলে এ সমস্যা দূর হবে বলে আমি মনে করি। দর্শক ফেরানো কোনো ব্যাপারই হবে না।
কিছুদিন আগে বিয়ে করেছেন। সংসার জীবন কেমন কাটছে?
সংসার আর করতে পারলাম কই! বিয়ের পর সংসার জীবন তো শুরুই হলো না। বাগদানের পর ‘আয়নাবাজি’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা গেল। এখন বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ছবির শুটিংয়ে। আমার স্বামী এখন নেটওয়ার্কের বাইরে। তিনদিন ধরে ট্র্যাকিং করছি। খুঁজে পাচ্ছি না। হয়তো শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছে। দেখা যাবে স্বামী ফ্রি হয়ে আসলে আমার নাটকের ব্যস্ততা বেড়ে যাবে।