আবদুর রব শরীফ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: জানো তো দুবেলা আহার জুটে না ওদের, কবিতা বিমূর্ত হয় অভাবী ছায়ায় ! কিছু করার এই তো সময় দিন চলে যায় ! > সেই করতে করতে এসে পড়লাম আজ বিজয়ের ৪৪তম বছরে ! তবুও ওদের পোশাক জরাজীর্ণ, কাঁধে ভিক্ষার ঝুলি, পাদুকার রং দুই রঙ্গের তবুও মুখে এক চিলতে হাসি, যেন বলছে বাংলাদেশ তোমাকে ভালবাসি ! কেমন আছে ওরা? কি করছে ওরা? কি খাচ্ছে ওরা? কি পড়ছে ওরা? কোথায় থাকে ওরা? হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুজতে যাবো না আজ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি’র সুরে দুই চোখ ছলছল করে বলবো, “ইশ্বর থাকেন ঐ ভদ্র পল্লীতে, এখানে তাহাকে খুজিয়া পাওয়া যাইবে না ৷”
টং মামার ঢং মার্কা নাড়ানীর রং চা যাদের প্রিয় তাদের দেখে ও ওদের হিংসা হয় কারণ ওদের সেই ভাগ্য ও নেই, কালেভদ্রে একটু আধটু সুযোগ পেলে উপরের ছবির ন্যায় এভাবে প্রাণ দিল খুলে হাসি ফুটে উঠে এই যেন ‘মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি ৷” এখনো স্বপ্নের বুক ছোঁয়ে শব্দ নিয়ে লিখে যেতে হয় কারণ ‘যদি কিছু হয় ! ‘ ‘যদি একটু চেঞ্জ হয় সমাজ ! ‘ ‘যদি একটি দিনের জন্য হলেও ওরা সুখি হয় !’ > আজ বিজয় দিবস ! বিজয়ের সবটুকু উল্লাস নিয়ে বোমা ফাটছে ! শুনেছি একটি আতশ বাজীর দাম একশ টাকার কম নয় ! লাখো বোমায় স্পন্দিত হয়েছে রাত বারটা ! একটি ফুলের তোড়া কিনতে গিয়ে কিনতে পারি নি ! একদাম এক হাজার ! আমার কোন ক্ষোভ নেই ! আমি ওদের পেটের দিকে তাকিয়ে আজ ফুল দিতে যেতে পারি নি ! গল্প লিখতে বসেছি ৷ অশ্রু দিয়ে কি প্যাড ভিজাতে বসেছি ! সেই দুই হাজার সাত সালে চঃবিঃ আমার ক্যাম্পাসে দুঃখী মানুষের জীবন কথায় ‘ ছিয়ানব্বই বছর বয়সে মেহের আলীর ভিক্ষার স্বাধীনতা ! ‘ নিয়ে ও চোখ ভিজিয়ে জীবন গল্পের খাতা ও ভিজিয়েছিলাম ! কই আজ তো ২০১৫ সে তো মরে নি ভিক্ষা ও ছাড়ে নি ! সে আজ চোখে দেখে না ! এখনো পথ খুজে! পথ ফিরে! পথ আগলিয়ে ভিক্ষা করে !
আমি বিজয়ে উল্লাসিত হতে পারি নি ! পারবো না ! চেতনায় একাত্তর ধারণ করেছি ! তবে আমার মত করে ! দেশ ভালবাসি তার সাথে যোগ হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ ! শিল্পী হায়দারের গান শুনছিলাম, ‘ত্রিশ বছর পরও আমি স্বাধীনতাটা কে খুজছি ! ‘ ওদের ভাগ্যের মত গানের লাইনটা ও চেঞ্জ হয়নি ৷ ত্রিশ সেই কবে পেরিয়ে গেল এক যুগ আগে তবে কি গানের মত যুগ যুগ ফেরিয়ে গেলে ও ওদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না ? ভালো থাকুক বাংলাদেশ ! ভালো থেকো তোমরা ও……!