ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করার আবার নিয়ম আছে নাকি! বাইরে বের হবার সময়ে শরীরে একটু স্প্রে করে অথবা ত্বকে ঘষে দিলেই তো হলো। কিন্তু আপনি কি আসলেই কাজটা ঠিকমতো করছেন? নাকি আরও ভালো করে ডিওডোরেন্ট দেওয়া যেতে পারে? Huffington Post এ এক বিজ্ঞানীর থেকে জানা যায় ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের সবচাইতে ভালো এবং বৈজ্ঞানিক উপায়। জেনে নিন ঠিক কী করা দরকার।
১) প্রথমেই লক্ষ্য করুন আপনি কী ব্যবহার করবেন, শুধু ডিওডোরেন্ট নাকি অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট? অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট আপনার বগল থেকে ঘাম এবং দুর্গন্ধ দুই-ই কমায়, আর ডিওডোরেন্ট সাধারণত শুধু গন্ধ কমায়। আপনি কোনটা ব্যবহার করবেন এটা নেহায়েত আপনারই ইচ্ছা।
২) বগলে ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো কাভারেজ। আপনি যেভাবেই ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন না কেন, আপনার পুরো বগল যেন এতে ঢাকা পড়ে। আর পুরুষেরা ব্যবহারের সময়ে একটু বেশি করে দেবেন যাতে রোমে ঢেকে থাকা ত্বকেও লাগে।
৩) তবে খুব বেশি ডিওডরেন্ট ব্যবহার করে ফেলবেন না যেন। কী করে বুঝবেন বেশি ডিওডরেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে? আপনি যদি দিনের শেষে দেখেন আপনার শার্ট বা জামার বগলে বেশ কিছুটা কেমিকেল লেগে আছে তবে ডিওডোরেন্টের পরিমাণ একটু কমিয়ে দেওয়াই ভালো।
৪) অনেকে দিনে একবারই ডিওডরেন্ট দেন। ফলে দিনের শেষে দেখা যায় শরীর থেকে দুর্গন্ধ আসছে। দিনের মাঝামাঝি সময়ে বা ৬-৮ ঘন্টা পর আরেকবার ডিওডরেন্ট দিতে পারেন। শাওয়ারের পরেও আরেকবার দেওয়া ভালো।
৫) অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট ব্যবহার করে থাকলে সেটা ঘুমাতে যাবার আগে দেওয়া ভালো, সকালে উঠে আরেকবার দিতে পারেন। অবাক হলেও সত্যি। কারণ ঘুমের মাঝে ঘাম কম হয় এবং অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট সেট হতে পারে। ফলে পরের দিন ঘাম কম হয়। আপনি দিনের বেলা যখন বেজায় ঘামছেন তখন অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট দিলে আসলে সেটা ধুয়ে যাবে এবং খুব একটা লাভ হবে না। শুকনো এবং পরিষ্কার ত্বকে অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট দেওয়াই ভালো।
৬) ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপার্স্পিরেন্ট ব্যবহারের আগে ত্বকে একটু দিয়ে টেস্ট করে নিন এতে কোনো অ্যালার্জি হয় কিনা।