ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোর্টে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আজ ভোরে হামলা চালায় ছয় জঙ্গি। নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বেলা ১০টা পর্যন্ত চার জঙ্গি ও ২ জন বিমানবাহিনীর কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ দিন রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে ছয় জঙ্গি। এরা প্রত্যেকেই বিমান বাহিনীর পোশাকে ছিল বলে জানা গেছে। ঘাঁটির যে অংশে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রাখা থাকে সেদিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। বিমান বাহিনীর ঘাঁটির মূল্যবান সামগ্রী নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্দেহের তীর জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের দিকে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার গুরুদাসপুর এসপির ছিনতাই হওয়া গাড়িতে করেই জঙ্গিরা বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছিল। এই গাড়ি ছিনতাইয়ের পরেই জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় গতকাল রাতেই বিমান বাহিনীর অফিসারদের নিয়ে দিল্লিতে ভারতের জাতীয় উপদেষ্টা অজিত দোভাল জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছিল। সেনাপ্রধানদেরও সতর্ক করা হয়েছিল। এই সতর্কতার ফলেই বিমানঘাঁটিতে প্রবেশের পর জঙ্গিদের পাল্টা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় বিমান বাহিনীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাদের। দীঘ ৬ ঘণ্টায় জঙ্গিদের মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড। জম্মু ও কাশ্মীর থেকেও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী আনা হয়েছে। সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পাঠানকোট-জম্মু হাইওয়েতে সতর্ক প্রহরা শুরু হয়েছে। বাকি জঙ্গিরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য হোটা বিমান ঘাঁটি এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। দিল্লিতে সেনাবর্তারা বৈঠকে বসে গোটা ঘটনার পর্যালোচনা করছেন। গুরদাসপুরে জঙ্গি হামলার মাত্র ছ’মাসের মধ্যে ফের এক বার রক্তাক্ত হয়েছে পাঞ্জাব। এদিকে ভারতের জাতীয় উপদেষ্টা ইতিমধ্যেই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবহিত করেছেন।