অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলো আসতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে চলে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবরা। ১৫ই জানুয়ারি আসবে শ্রীলঙ্কাও। এরপরই ২০শে জানুয়ারির মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ছাড়া সবগুলো দলই চলে আসবে। বাংলাদেশের যুব দলও এরই মধ্যে নিজেদের প্রস্তুত করেছে। শেষ প্রস্তুতি হিসেবে আজ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হবে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। আজ মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে সকাল ৯টায় অচেনা ক্যারিবীয় যুব দলের মুখোমুখি হবে মেহেদি হাসান মিরাজ বাহিনী। তবে শেষ প্রস্তুতির আগেও কাটছে না দলের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা। দলের অধিনায়ক থেকে শুরু করে প্রধান কোচ সবারই লক্ষ্য এই তিন ম্যাচের সিরিজেই যেন দল ব্যাটিং ধারাবাহিকতায় ফিরে। দলের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘কাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আমাদের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ আছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। এই সিরিজটি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নেয়ার শেষ সুযোগ। সেই সঙ্গে আমরা এই সিরিজে নিজেদের যাবতীয় ভুলগুলো শুধরে ভালো খেলার চেষ্টা করবো। আমাদের মূল ফোকাস থাকবে ব্যাটসম্যানদের উপরে। আমরা যদি ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য ম্যাচটা সহজ হয়ে যাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলাররা অনেক ভালো। পেসারদের যদি আমরা ভালো মতো ডমিনেট করতে পারি সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য বিশ্বকাপে খেলাটা সহজ হয়ে যাবে।’
অন্যদিকে দলের প্রধান কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের কণ্ঠেও ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা ফুটে ওঠলো আরেক বার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি এই শেষ সুযোগে ব্যাটিংয়ে উন্নতির জন্যই কাজে লাগাতে চান বলে জানালেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। আমরা এখনো ওদের সম্পর্কে সেভাবে কিছু জানি না। ওদের টিম সম্পর্কে নেট থেকে নামিয়ে দেখেছি। কে বাঁহাতি আর কে ডানহাতি। ধারণা নেয়ার চেষ্টা করেছি। বিশ্বকাপের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এমন একটি সিরিজ। আমাদের প্রস্তুতির জন্য খুব ভালো হবে। অবশ্যই আমরা চাইবো প্রত্যেকটি ম্যাচ জিততে। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা যদি ধারাবাহিকভাবে রানে ফিরে বিশ্বকাপের আগে দলের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া হবে। এখান থেকে আমাদের ব্যাটসম্যান ও বোলারদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিতে হবে। সবার কাজটা যদি সবাই ভালো মতো করে বিশ্বকাপের আগে ওরা মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে যেতে পারবে।’
তবে অধিনায়ক মিরাজ দলের স্পিন শক্তির উপর বেশ আস্থাশীল। দেশের মাটিতে দলের স্পিন শক্তিই যে তাদের মূল সেটিও বলতে দ্বিধা করলেন না। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করতে রাজি নন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্কোরবোর্ডে যদি রান তুলতে পারে সেক্ষেত্রে বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে। আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার তেমন সুযোগ নেই। আমাদের প্রসেস অনুযায়ী আমরা খেলবো। আমরা বিশ্বকাপের শেষ মুহূর্তে চলে আসছি। আমাদের সব পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গেছে। আমাদের শক্তিশালী দিক যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আমরা মাঠে লড়াই করবো। আমাদের দলে খুব ভালো ভালো স্পিনাররা আছে। আমি তাদের নিয়ে খুব আত্মবিশ্বাসী।’ কোচও একই শক্তির কথা জানালেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এসেছি। এখন আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা। আশা করি ভালো কিছুই হবে। ওদের যেমন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেশি, আমাদের তেমন ডান হাতি অফ স্পিনার বেশি। স্পিন আক্রমণটা ভালোই হবে আশা করি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে হলেও শেষ দুটি ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। এরপর বাংলাদেশ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত অনুশীলনে মাঠে নামবে । ২৭শে জানুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের বিপক্ষে টাইগার যুবরা শুরু করবে বিশ্বকাপ মিশন।