রাজধানীর পল্লবী এলাকায় এক চা বিক্রেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই চা বিক্রেতার নাম সিরাজুল ইসলাম (৪০)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অথবা পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পল্লবী থানাধীন ডি ব্লকের ১১ নম্বর লাইনের মিল্লাত ক্যাম্পের একটি টিনসেডের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সিরাজুল। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টায় দুর্বৃত্তরা ওই বাড়িতে ঢুকে তাকে গলায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন এবং তার স্ত্রী সাবিনাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, তার গলায় চারটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের চাচাতো ভাই মোক্তার হোসেন জানান, তারা বিহারী। মিল্লাত ক্যাম্পে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। বাড়ির ভাগ নিয়ে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে তার শাশুড়ির দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। এ ছাড়াও সিরাজুল ও তার স্ত্রী সাবিনার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। ওই সূত্র ধরেই সিরাজুল খুন হতে পারে বলে তাদের ধারণা। সিরাজুলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের রহস্য বের হয়ে আসবে বলে তিনি দাবি করেন। সিরাজুলের বাবার নাম একরামুল ইসলাম। তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন। সিরাজুল দুই সন্তানের জনক ছিলেন। পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির জানান, ওই চা দোকানীর খুনের ঘটনাটি রহস্যজনক। ঘটনার সময় ওই ঘরে স্বামী ও স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সাবিনা বেগমকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সাবিনা পুলিশের কাছে দাবি করেছে যে, ঘটনার সময় তিনি বাথরুমে ছিলেন। কিন্তু, তার ওই কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। এ ছাড়াও তার কিছু কথা অসংলগ্ন মনে হয়েছে। খুব শিগগিরই ওই খুনের ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।