দীর্ঘদিন ধরেই বৃদ্ধ শাশুড়িকে পিটিয়ে আসছিলেন সংগীতা জেইন। গত সপ্তাহেও একই কাজ করেছিলেন সংগীতা। তবে এবার আর নিস্তার পাননি। ঘরে নতুন বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় এ দৃশ্য। আর তা অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে ভারতজুড়ে। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাকে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের বিজনরি জেলায় ঘটেছে এ ঘটনা। বিজনরির সন্দীপ জেইনের সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয় সংগীতার। সন্দীপের ভাষ্য মতে, তখন থেকেই সন্দীপের মা ৭০ বছর বয়সী রাজ রানি জেইনকে মারপিট করে আসছে সংগীতা। কিন্তু সংগীতা কেন এভাবে রাজ রানি জেইনের ওপর চড়াও হয়, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি সন্দীপ। আবার এতদিনেও কেন সন্দীপ এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে রিপোর্ট করেনি, তাও স্পষ্ট নয়। তবে সন্দীপ কিছুদিন আগেই তার স্ত্রীর এমন উগ্র চেহারা উন্মোচন করতে গোপনে ঘরে সিসিটিভি স্থাপন করে। আর সেই সিসিটিভির একটি ফুটেজেই সংগীতা ধরা পড়ে শাশুড়িকে মারপিটরত অবস্থায়। ফুটেজে দেখা গেছে, বিছানায় কম্বলে মোড়ানো বৃদ্ধ শাশুড়িকে চড়-থাপ্পড় মারছে সংগীতা এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করছে। একপর্যায়ে তাকে গলা টিপে হত্যা করতে উদ্যত অবস্থায়ও দেখা গেছে সংগীতাকে। ধারণা করা হচ্ছে, ফুটেজটি গত সপ্তাহের কোনো একদিনে ধারণ হওয়া। এ ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে তা পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তারা সংগীতাকে গ্রেপ্তার করে। শাশুড়ি রাজ রানি জেইন এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার পুত্রবধূ আমাকে মেরেছে এবং গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেছে। পরে সে একটি পাথর নিয়ে আসে এবং তা দিয়ে আমাকে আঘাত করে।’ স্ত্রী সম্পর্কে সন্দীপের বক্তব্য, সে বরাবরই এমন। এনডিটিভির খবরে অবশ্য বলা হয়েছে, সংগীতা এই ভিডিওটিকে বানোয়াট বলে দাবি করেছে। তার বক্তব্য, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্যই তারা এ ভিডিও বানিয়েছে। তারা আমাকে অনেক মেরেছে। সেগুলোর কোনো ভিডিও নেই।’ পুরো ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দালজিৎ চৌধুরী এনডিটিভিকে বলেন, ‘সে যে আচরণ করেছে তা দুঃখজনক। এ পরিবারের অন্তর্কোন্দলের কথা আমরা শুনেছি। এটা পারিবারিক বিষয় হলেও এখন আমাদের হাতে ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’