নিউ ইয়র্কে ২২ বছর বয়সী এক নারীকে জোর করে নগ্ন করে দেয়া হলো। তারপর তাকে বাধ্য করা হলো রাস্তায় হাঁটতে। যদি না হাঁটেন তিনি তাহলে তাকে সিঁড়ি অথবা জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয় তারই বয়ফ্রেন্ড জেসন মেলো (২৪)। ওই যুবতীর বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, সে তাকে আরেক পুরুষের শরীর ম্যাসাজ করতে দেখেছে। তার শাস্তি হিসেবে নিজের প্রেমিকাকে রাস্তায় পুরোপুরি নগ্ন হয়ে হাঁটতে বাধ্য করে সে। প্রথম দিকে যুবতীর শরীর একটি তোয়ালে দিয়ে ঢাকা থাকলেও তা পর মুহূর্তে জোর করে খুলে নেয়া হয়। এ ঘটনা যখন প্রকাশ পেয়েছে, মিডিয়ায় রাজপথে নগ্ন হয়ে হাঁটার ছবি প্রকাশ হয়ে গেছে তখন ওই যুবতী এ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি দুই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তানের মা। তার বিরুদ্ধে যে পাশবিক আচরণ করা হয়েছে তা নিয়ে তিনি লাজলজ্জার মাথা খেয়ে সব বলে দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি কোন পুরুষের শরীর ম্যাসাজ করেন নি। তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে ওই মতো অভিযোগ এনে মেলো হুমকি দেয়, সে যা বলছে তার বান্ধবী যদি তা না করে তাহলে তার মুখে কোপানো হবে। সিঁড়ি দিয়ে ফেলে দেয়া হবে নিচে। এক পর্যায়ে তাকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়। তিনি তখন একটি তোয়ালে দিয়ে নিজের সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তাও কেড়ে নেয়া হয়। এ দৃশ্য আবার ভিডিও ধারণ করে মেলো। তাতে শোনা যায় সে তার বান্ধবীকে বলছে, থাম। তোয়ালে খুলে ফেল। আমরা দেখতে চাই তোমার লজ্জা। তোমার মতো সুন্দরী একটি নারীকে সাতজন পুরুষের সঙ্গে! এর মূল্য তোমাকে দিতে হবে। এখন সবাই তোমাকে দেখতে পাচ্ছে। মেলোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগে ম্যানহাটান ক্রিমিনাল কোর্টে মামলা চলছে। গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে মেলোকে। একটি নারীর সম্ভ্রম, একটি সদ্যজাত কন্যাকে বিপদগ্রস্ত করে তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ সময় মেলোকে কাঁদতে দেখা যায়। পশ্চিমা মিডিয়া তার এ কান্নাকে কুমিরের মায়াকান্না হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। নির্যাতিত যুবতী বলেছেন, তাকে আমি ভীষণ ভয় পাই। তার নির্দেশ পাওয়ার পর আমি ঠিক করতে পারি নি কি করবো। এমনকি আমি চিন্তাও করতে পারি নি। সে আমাকে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকে। আমার মুখ কেটে দেয়ার হুমকি দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে মেলো। ইন্সটাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিওিতে সে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। বলেছে, আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমাকে যত খারাপ মনে কর আমি আসলে ততটা নই। আমি শুধু তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম আমি কতটা কষ্ট পেয়েছি। তুমি জান না আমার মনের ভিতর কি ঝড় বইছিল। তবে মেলো তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা কতটুকু সত্য তা এখনও নির্ধারিত হয় নি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।