ভারতের সঙ্গে ৪৫ রানে হেরে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি মিশন। সেই ম্যাচে হেরে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল দল। কিন্তু পরের ম্যাচে আরব-আমিরাতকে গুঁড়িয়ে দিয়ে গতকাল সাব্বির রহমান রুম্মান বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ হারের পর আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা কমে গিয়েছিল। ছোট-বড় যাই হোক আমিরাতের বিপক্ষে জিতে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। আমরা খুব ভালোভাবে জিতেছি বলে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।’
তবে জয়ে ফিরলেও ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ছিল খেই হারানো। তেমন আরব-আমিরাতের বিপক্ষে জিতলেও ব্যাটিং ছিল সেই একই পথে। যা বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির জন্য দলের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীম ও সাকিব আল হাসান ফর্মে না থাকায় এই দুশ্চিন্তা এখন প্রকট। দলের ব্যাটিং নিয়ে সাব্বির বলেন, ‘আমি আসলে এটা নিয়ে কিছু বলতে পারবো না। কেউ হয়তো বা ক্লিক করতে পারছে না, কেউবা ক্লিক করছে। টিম জেতাটা সবচেয়ে বড় বিষয়। এটাই মনে করি।’ অন্যদিকে লঙ্কান দলে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই তরুণ। একমাত্র অধিনায়ক মালিঙ্গা গড়ে দিতে পারে বড় পার্থক্য। মালিঙ্গাকে নিয়ে সাব্বির বলেন, ‘তাকে নিয়ে আমাদের বিশেষ কোনো চিন্তা নেই। আমাদের বল টু বল খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। কোন বোলার বল করছে সেটা মুখ্য নয়।’ সাব্বির বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে ছোট-বড় দল বলতে কিছু নেই। এটা ১৯-২০ খেলা। আমরা শুধু শ্রীলঙ্কা না যে কোনো দলের বিপক্ষে সেরা খেলাটা খেলার চেষ্টা করবো।’
নিজেদের টি-টোয়েন্টিতে কম খেলার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখেন ভারতীয় দল আন্তর্জাতিক ম্যাচ ৫০-৬০টা খেলেছে। ওরা আইপিএল খেলে অথবা ওদের দেশে অনেক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়। সাব্বিরকে বিসিবি সভাপিত বলেছেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। তাকে নিয়ে বোর্ড সভাপতির এমন মস্তব্য প্রসঙ্গে সাব্বির বলেন, ‘এ মুহূর্তে পারফর্ম করছি বলেই তিনি এমন বলেছেন। হয় না কিছু খেলোয়াড় আছে যারা নিয়মিতই ভালো পারফর্ম করছে। সে সময়ে তারই কথা বলা হয়। তবে আমরা ১১জনই চেষ্টা করি সব সময় পারফর্ম করার জন্য।’ দলের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংটাও যেন ঠিকমতো হচ্ছে না। ক্যাচ ছুটছে ঘন ঘন। এই বিষয়ে সাব্বির বলেন, ‘ ক্যাচ মিস মানে যে ওখানে ফিল্ডিং করতে পারবে না এমন নয়। আমরা সব সময় চিন্তা করি যে কে কিভাবে ক্যাচ ধরতে পারবে ও তাড়াতাড়ি রানআউট করতে পারবে।’