বিদেশ থাকা স্বামী হাফিজুর রহমানকে দেখার জন্য দীর্ঘ আটটি বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের শামসুন্নাহার সুমি (৩২)। অপক্ষোর প্রহর শেষে দিনটিও নিকটে চলে আসে। আগামী ৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন স্বামী। বিমানবন্দরে থেকে তাকে রিসিভ করে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা তার সব স্বপ্নই তছনছ করে দিয়েছে।
রোববার সকালে যশোর শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে নিহত হন সুমি। এতে আহত হয়েছে তার আট বছরের মেয়ে কানিশা। আহত কানিশাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহতের মামা গাজী মুকিতুল হক ও শ্বশুর ইসহক আলী হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, হাফিজুর রহমান সিঙ্গাপুর থাকে। প্রায় আট বছর পর আগামী ৭ এপ্রিল সে দেশে আসছে। তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে হাফিজুরের স্ত্রী শামসুন্নাহার সুমি ও মেয়ে কানিশা আগে ভাগে ঢাকার পথে রওনা দেয়। তারা ঢাকায় পৌঁছে এক আত্মীয়ের বাসায় থাকতে চেয়েছিল। এজন্য রোববার সকালে মনিরামপুর থেকে ভাড়ার মোটরসাইকেলে যশোর শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেখান থেকে হানিফ পরিবহনে ঢাকায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডের ট্রাফিক মোড় ঘুরতেই মোটরসাইকেলের পেছন থেকে পড়ে যায় সুমি ও তার মেয়ে। এতে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে সুমি মারা যায় এবং আহত হয় মেয়ে কানিশা।
মা-মেয়ের হতাহতের ঘটনাটি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস আলী।