ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা,প্রতিনিধি ঃ নীলফামারীর তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাঙন অব্যাহত আছে ক্রমে ভয়েঙ্কার দানবের রপধারণ করছে। বুধবার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে আরও ৩৭টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এর পূর্ব ওই ইউনিয়নে ২৮১ পরিবারের ঘরবাড়ি তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কিকরণ কেন্দ্র জানায়, ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিপদসীমার ১৩ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাডড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াাবাড়ি, জলঢাকা উপজেলার, গোলমুণ্ডা, ডায়াাবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১০ সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার নীচে নামলেও এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ কমেনি।
অপরদিকে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়বাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি, পূর্বখড়িবাড়ি, টাপুরচর, ঝিঞ্জিরপাড়া ও মেহেরটারী গ্রামে চলছে নদী ভাঙন।
আজ নতুন করে ৩৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার খবর জানান সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বালির বাঁধটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে বুধবার পর্যন্ত এসব গ্রামের ৩৩১টি পরিবারের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বাধটি ভেঙে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীর গতি পরিবর্তন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারীভাবে ১৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।
ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমলেও ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি আছে।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উনয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বুধবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, পানি কিছুটা কমলেও বিচ্ছিন্নভাবে ভাঙন অব্যাহত আছে।