ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কয়ারগাছি গ্রামের একটি পাড়ায় দীর্ঘ প্রায় ৫১ বছর ধরে ২ একর ৩২ শতক খাস জমির উপর ১৫ ঘর মানুষ বসবাস করে আসছে। এই ১৫ ঘর মানুষ এখন ৫০ ঘরে উন্নিত হয়েছে। কিন্তু এই জমি কাহার নামে না হলেও শ্রেণীর ¯^ার্থ নেসি মহল বেচা কেনা শুরু করে মানুষের সাথে প্রতারণা শুরু করেছে।
মহারাজপুর ভুমি অফিস সুত্রে জানা গেছে এই খানে ১ নং খতিয়ান ভুক্ত ৪৩৪ দাগে ৩০ শতক, ৪৩৫ দাগে ৪৫ শতক, ৪৩৬ দাগে ৩২ শতক, ৪৩৭ দাগে ৩৩ শতক, ৪৩৯ দাগে ৩৩ শতক, ৪৪১ দাগে ৫৬ শতক। এই ৬ দাগে মোট ২ একর ৩২ শতক জমি রয়েছে। যাহার রেকড বাংলাদেশ সরকার নামে জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহের নামে। এখানে বসবাস রত কার নামে কোন কাগজ পত্র নেই। এই জমির উপর অনেকে পাকা বিল্ডিং তৈরি করেছে।অনেকের মাঠে বেশ আবাদি জমি আছে। আবার অনেকে শহরে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে।
স¤প্রতি কালে আবিরন নেছা নামের এক মহিলা একই গ্রামের মসলেমের ছেলে লাল চাঁদের নিকট তার ভোগকৃত জমি ৫ শতক ৮০ হাজার টাকা মুল্যে ক্রয় করে। এইটা নিয়ে জানা জানি হলে প্রকৃত বিষয়টি বাহির হয়ে আসে।
এই প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের মহারাজপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসীলদার রফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানে ৪১ ঘর লোকের বসবাস কিন্তু কোন জমিই তাদের নামে বন্ধবস্তো নেই।
তবে তারা ১৯৬৫ সালে ভারত থেকে আসার পর এখানে বসবাস করছে। এবার এই জমি ১ নং খতিয়ান ভুক্ত এবং ১/১ খতিয়ানে রেকড় হয়েছে। কিন্তু বসবাস রত কার কোন কাগজ পত্র নেই। সেখানে তো বেচা কেনার প্রশ্নই উঠে না।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ভুমি অফিসার ওসমান গনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি জেনে যথাযথ পদ¶েপ গ্রহণ করব।