আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৩নং দামোদরপুর ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় ১০ টাকা কেজি চালের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত ¯^চ্ছল ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্রদের নাম অন্তর্ভূক্তের (সংশোধণী) নির্দেশ দিয়ে পত্র প্রেরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহ্সান হাবীব। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টেলিফোন ও লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে (¯^ারক নং ৫১৬, ৩৩) নির্দেশনা পত্রটি সংশিষ্ট ইউনিয়নের তালিকা প্রণয়ন কমিটির সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহ্সান হাবীব শনিবার সকালে পত্র প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর দামোদরপুর ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে তালিকা সংশোধণ করে প্রকৃত হতদরিদ্রদের তালিকার্ভূক্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পত্রে উলেখ্য করা হয়, ইউনিয়ন কমিটির সভার মাধ্যমে প্রণীত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া ¯^চ্ছল ব্যক্তির নাম বাদ দিয়ে তদস্থলে প্রকৃত হতদরিদ্রের নাম অন্তর্ভূক্তির সুপারিশসহ কার্যবিবরণী আগামী ৫ দিনের মধ্যে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বরাবরে প্রেরণ করতে হবে। এছাড়া তালিকা সংশোধণীর পরেও কোন ¯^চ্ছল ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলে সংশিষ্ট চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার ও উক্ত কার্ডধারী ¯^চ্ছল ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উলেখ্য সাদুল্যাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজিতে চাল কেনার তালিকা অনুসন্ধানে জানা যায়, তালিকা প্রণয়ণে দলীয়করণ, ¯^জনপ্রীতি ও নানা অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়। ফলে দরিদ্রদের পরিবর্তে ¯^চ্ছল ও বিত্তশালীরা চাল পাচ্ছেন। এরমধ্যে দামোদরপুর ইউনিয়নে ১২২০ জনের তালিকায় আ’লীগ নেতা, সরকারী চাকুরীজীবী, অবসরপ্রাপ্ত চাকুরীজীবি, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাবেক ইউপি সদস্য, শিক্ষকের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর নাম অন্তর্ভূক্ত।
শুধু তাই নয়, তালিকায় আ’লীগ নেতাসহ তার চার ভাই ও একই পরিবারের ¯^ামী-স্ত্রী এবং মেয়েসহ ¯^চ্ছল ও প্রভাবশালী শতশত ব্যক্তির নাম রয়েছে। এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন ৯ অক্টোবর দৈনিক যায়যায়দিনে প্রকাশ হয়। পর্যায়ে ক্রমে প্রতিবেদনটি বিভিন্ন জাতীয়, অঞ্চলিক দৈনিক এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ হয়।