প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ সুশিক্ষার আলো ছড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে এই কলেজ কখনো পিছপা হয়নি। জন্মলগ্ন থেকেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে আসছে। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মেধাবী সমাজ গঠনে। দিনে দিনে বাড়ছে সাফল্য ও কাঙ্খিত অর্জন।
‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলার, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ৪ বারের সিআইপি এম এ রহিম। কলেজটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেন তার আপন ছোটভাই মুজিবুর রহমান মুজিব। কলেজটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক।
দুই ভাই মিলে দিনরাত ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটিকে বর্তমানে এক মনোরম ও আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষার পাঠদানের সুব্যবস্থায় উপনীত করেছেন। প্রতিমাসে কলেজের জন্য ব্যয় করছেন ১০-১২ লক্ষ টাকা। যার ফলে প্রতি বছরই আসছে সন্তোষজনক ফলাফল। ‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ থেকে সুশিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ শিক্ষার্থীর জীবনকে সুন্দর আনন্দময় ও সম্ভাবনাময় করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিদ্ধ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
কলেজের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন মুজিবুর রহমান মুজিব। তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের তুলনায় সুবিধাজনক হলেও অনেকটা সীমাবদ্ধতায় আমাদের কলেজের বর্তমান একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমি যেসকল মেধাবী শিক্ষার্থী পেয়েছি যারা আমাদেরকে বিশ্বাস করে ‘আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুর রহমান ডিগ্রি কলেজ’ -এ ভর্তি হয়ে আমাদের পরিকল্পিত পাঠদান ও পাঠ্যগ্রহণ পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তারা শতভাগ সফলতার সাথে রেজাল্ট ভালো করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, এই কলেজ যদি সরকারের সুনজরে নেয়া হয় এবং এমপিও ভুক্ত করা হয় তাহলে পরিকল্পিত নির্ভরযোগ্য পাঠদান ও পাঠ গ্রহণ পদ্ধতি উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েই আমি শিক্ষার্থীদের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করবো।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিল্পপতি, সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলার, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও ৪ বারের সিআইপি এম এ রহিম বলেন, ইউসুফনগর গ্রামকে আমরা শতভাগ শিক্ষিত একটি মডেল গ্রাম হিসেবে তৈরী করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ। আমরা প্রমাণ করেছি যে, প্রবাসীরা চাইলে দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। এভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য সকল বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান সাবেক এই ব্রিটিশ কাউন্সিলার ।
বর্তমানে আলহাজ্ব মোঃ মখলিছুরর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫৫০। আর শিক্ষক সংখ্যা ২৫ জন। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, শুধীমহল ও সর্বস্থরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে এখন দাবী উঠেছে কলেজটি সরকারিকরণের।