আশরাফুল আলম (কিশোরগঞ্জ-ভৈরব প্রতিনিধি)॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আকবরনগর-মিরারচর বাজারের এক ব্যবসায়ীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা, থানায় মামলা দায়ের। প্রধান আসামী মোঃ লিলু মিয়া গ্রেফতার। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে খাসহাওলা গ্রামের মৃত নাঈম উদ্দিন আহম্মদ এর ছেলে মোঃজামান মিয়া। তিনি দীর্ঘদিন যাবত আকবরনগর -মিরারচর বাজারে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু গত শনিবার ১৬-০৭-২০১৭ইং তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত আনুমানিক ০১:০০ ঘটিকার সময় বাড়িতে আসার পথে খাসহাওলাস্হ রেল লাইনের পূর্ব প্বার্শের রাস্তায় পৌছা মাত্র পূর্ব আক্রোশে পরিকল্পিতভাবে ৭/৮ জন সান্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্রদ্বারা সামনে পিছনে ঘেরাও করে রাখে দুইজন দুইপাশে গলায় রামদা দিয়ে ধরে রাখে এবং আরোও কয়েকজন ধারালো ছুরি দিয়ে পিটে, বুকে ও দু হাতের বুগোলে ধরে রাখে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটির পর একজন বললো ব্যবসাতো ভালই করতাছ কালকেই তোকে মারতাম কিন্তু তোর সাথে আরেকজন ছিল তাই মারতে পারলাম না কিনতু আজকে তোকে আর কেউ বাচাঁতে পারবে না কয়েকজনকে জামান মিয়া চিনতে পারে। জামান মিয়া যখন বুঝতে পারলো যে তাকে মেরে ফেলবে তখন সে চিৎকার দিয়ে বাচাঁও বাচাঁও বলে ডাকতে থাকে, পাশের বাড়ির ইসহাক মিয়াকে কিন্তু সে তার চিৎকারের আওয়াজ পায়নি। ফলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপায় এবং ছুরিকাঘাত করে। তার মাথায় তিনটি গুরুতর রামদায়ের কুপ পিটের মধ্যে তিন চারটি ছুরিকাঘাত দুহাতে এবং পায়ে কুপিয়ে গুরুতর অবস্হায় রাস্তারপাশে ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তার কাছ থেকে নগদ ৩০,০০০/টাকা,একটা মোবাইল ও টর্চ লাইট নিয়া যায়।
পরে এলাকার মানুষেরা খবর পেয়ে তাকে প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পরে ডাক্তারের পরামর্শে মুমূর্ষ অবস্হায় জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ভাগলপুর ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে রোগীর অবস্হা আশংঙ্কাজনক রয়েছে বলে বলেছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।