অবশেষে সনদ জালিয়তির অভিযোগে জেলে যেতে হলো ইজি ফ্যাশনের চেয়ারম্যান, তার দুই ভাইসহ আরো ১৩ জনকে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আসামিকে কারাগারে প্রেরণের ঘোষণায় বাদী পক্ষের আইনজীবি চঞ্চল স্বস্তি প্রকাশ করেন।
তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কোনো অন্যায় করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। যত বড় ক্ষমতাবানই হোক অন্যের ওপর জুলুম করলে তার বিচার হবেই।
এদিকে আদালতের ওপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ভুক্তভোগীরা বলেন, এই জালিয়তি করে আমাদের জমি হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পেয়েই আজ আদালত তাদের জেলে পাঠিয়েছে। আমাদের ঘটনা যে সত্য সেটা প্রমাণ হলো। আমরা আশা করছি এই জালিয়তির ঘটনায় সাজা দিবেন আদালত।
উল্লেখ্য, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজৈর গ্রামের বাসিন্দাদের স্থাবর সম্পত্তির নথিপত্র জাল করে সেগুলো হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে দেশের নামকরা পোশাকের ব্র্যান্ড ইজি ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী তিন ভাই আসাদ চৌধুরী, ইসহাক চৌধুরী এবং তৌহিদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জালাল উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেখিয়ে তার সই নকল করে জমি কেনাবেচার নথিপত্র তৈরি করা হয়। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমন কারসাজির ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষকে বিক্রেতা দেখিয়ে রেজিস্ট্রিও সম্পন্ন করা হয়। আর, সবরকম প্রক্রিয়া শেষ করে সংশ্লিষ্ট জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয় ক্রয়সূত্রে এই জমির মালিক তিন ভাই।
সর্বশেষ চার দলিলেই হাতানো হয়েছে চার বিঘা জমি; যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন এ ঘটনায় পলাশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।