চট্টগ্রামে শহরের আকাশ হোটেলে খুন হওয়া হাবিবকে গলায় বিছানার চাদর পেচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হত্যার সাথে সম্পৃক্তরা।
সোমবার তারা জানায়, ৩ মে রাতে হাবিব আকাশ হোটেলের ২১৪ নম্বর কক্ষে যান নারী বিক্রির টাকার জন্য। কিন্তু নারী পাচারকারী ব্যাচাইয়া চুক্তি মেতাবেক সব টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটা এক পর্যায়ে ব্যাচাইয়া হাবিবের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে হাবিব হোটেল কক্ষের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ব্যাচাইয়া ও তার সহযোগীরা হাবিবের গলায় বিছানার চাদর পেচিয়ে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যা করে। তবে আটককৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
আটককৃত নয়ন জানান, “সে আকাশ হোটলের কর্মচারি। আকাশ হোটেলের মালিক বাবুলের সাথে হাবিবের সম্পর্ক ছিল। মাঝে মাঝে হাবিব বাবুল ও ব্যাচাইয়াসহ হোটেল কক্ষে সময় কাটাতো। ৩ মে রাতে হাবিব আকাশ হোটলে যায়। এ সময় ব্যাচাইয়ার ও বাবুলের সাথে টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে হাবিবকে খুন করে ব্যাচাইয়া ও তার সহযোগীরা। কিছুক্ষণ পরে তারা কয়েকজন ওই কক্ষে গিয়ে দেখেন হাবিবের লাশ কক্ষের মেঝেতে পড়ে আছে। তার গলায় বিছানার চাদর পেঁচানো। মাথায় আঘাত। মুখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।
গত ৪ মে মিরসরাই উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নেত্রঘোনা জেলার বারহাট্টা থানার দুধগড়া গ্রামের রজব আলীর ছেলে মো.হাবিব (২৬)। নারী ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দের কারণে সন্ত্রাসী ব্যাচাইয়া গ্রুপ মো.হাবিবকে হত্যা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় ফেলে দেয়।