অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৬ জুন এ মামলায় শুনানি শেষ হলে তা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বিচারিক আদালতে তারেক রহমানকে দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের রায় আগামীকাল। একই সঙ্গে আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামি মামুনের আপিলেরও সিদ্ধান্ত হবে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে তারেক রহমান অনুপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ দেন। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয় রায়ে। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দাখিল করে দুদক।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেককে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। মামুন ওই টাকা সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে তার হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।