রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে ‘মরিচ ও স্ট্যান গ্রেনেড’ ব্যবহার করছে ভারত। ভারতের কর্মকর্তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বিশাল স্পর্শকাতর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘চিলি ও স্ট্যান গ্রেনেড’। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ভারত এরই মধ্যে সেখানে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মধ্যে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা সঙ্কটে চার লাখ ২২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে এসব রোহিঙ্গা পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করার আশঙ্কা রয়েছে। আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, এর প্রেক্ষিতে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ‘রুড অ্যান্ড ক্রুড’ অর্থাৎ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নয়া দিল্লিতে ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী রোহিঙ্গাদের আমরা মারাত্মকভাবে আহত করতে বা তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে চাই না। তবে আমরা ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গাদের সহ্য করবো না। তাই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হলে, শত শত রোহিঙ্গা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের থামানোর জন্য আমরা গ্রেনেড ব্যবহার করবো। এসব গ্রেনেডে রয়েছে মরিচের গুঁড়ো। আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, ২৫ শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের নৃশংস অভিযান শুরুর পর কমপক্ষে চার লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। মিয়ানমারের দাবি এ অভিযানে কমপক্ষে ৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর বেশির ভাগই রোহিঙ্গা উগ্রবাদী। এ অভিযানকে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। আইরিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট আরো লিখেছে, এমনিতেই বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। সেখানে এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে জায়গা করে দিতে গিয়ে এক রকম লড়াই করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে এতে ভারতে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। তা হলো, রোহিঙ্গাদের এই প্রবাহ চড়িয়ে পড়তে পারে এ অঞ্চলজুড়ে। পশ্চিমবঙ্গের বিশাল একটি সীমান্ত অঞ্চল প্রহরা দেয়া বিএসএফের উপ মহাপরিদর্শক আরপিএস যশওয়াল বলেছেন, রোহিঙ্গা ঠেকাতে বা রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করতে তার বাহিনীকে চিলি গ্রেনেড (মরিচের গুঁড়ো মিশ্রিত গ্রেনেড) ও স্ট্যান গ্রেনেড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।